প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। তৃণমূল সরকারের আমলে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি যেমন সামনে আসছে, ঠিক তেমনই বিদ্যালয়গুলিতে চলছে অচলাবস্থা। কোনো জায়গায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরির জন্য প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা করা হচ্ছে, আবার কোথাও বা ছাত্রীদের সঙ্গে অসভ্য আচরণের অভিযোগ উঠছে শিক্ষকের বিরুদ্ধেই। বিরোধীদের দাবি, যে সমস্ত স্কুলে এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে, খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, যারা অভিযুক্ত, তারা তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের তরফ থেকে সমর্থন পাচ্ছে। আর সেই কারণেই তারা অন্যায় মূলক কাজকর্ম করে যাচ্ছে শিক্ষাঙ্গনের ভেতরে। আর এবার পুরুলিয়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠলো ভয়ংকর অভিযোগ। যে অভিযোগ শোনার পর রীতিমত লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে শিক্ষা মহলের। আর বিরোধীরা দাবি করছে, এই প্রধান শিক্ষক তৃণমূলের যে শিক্ষা সেল রয়েছে, তার সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও তৃণমূলের যোগের দাবি তুলছে বিরোধীরা।
এই রাজ্যের বুকে সাধারণ মানুষ লক্ষ্য করেছে, শিক্ষাঙ্গনের ভেতরে তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি। ইতিমধ্যেই এমনই একটি খবর সামনে এসেছে। আর তার মাঝেই চলে এলো আরও এক ভয়ঙ্কর খবর। যেখানে পুরুলিয়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের হোস্টেলের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করার। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের সঙ্গে অসভ্যতা করছেন বলে অভিযোগ। আর তার বিরুদ্ধেই আজ বামেদের ছাত্র যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়। যেখানে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে বোরো থানার সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অভিভাবকরাও শামিল ছিলেন বলেই খবর।
বামেদের ছাত্র যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে অসভ্যতা করেছেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি ছাত্রীরা নিরাপত্তার দাবি করলেও স্কুলের অন্যান্য কর্তা ব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবক, অভিভাবিকারা সকলেই নিজেদের পড়ুয়াদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তাই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতেই এই বিক্ষোভ। পাশাপাশি বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে, এই প্রধান শিক্ষক তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তাই এই সমস্ত অন্যায়কারীদের আশ্রয়দাতা একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেই সোচ্চার হচ্ছেন তারা।