প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় বাংলাকে দেখে অনুসরণ করতো গোটা দেশ। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই বাংলার মান যেভাবে তারা নিচে নামিয়ে দিয়েছে, তাতে বাংলার সমালোচনা, বাংলার অবক্ষয় নিয়ে এখন গোটা দেশে আলোচনা হয়। সংসদে বাংলায় কি পরিস্থিতি, বাংলায় কিভাবে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, তা নিয়ে সোচ্চার হোন অনেকেই। যার ফলে বাংলার মান যে ক্রমশ গোটা দেশের কাছে নিচে নেমে যাচ্ছে এবং তা হচ্ছে এই তৃণমূলের ভুল শাসনের কারণে, সেই বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতারা। আর এবার যে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ও বাঙালিকে সবথেকে বেশি একাত্ম করেছে বলে দাবি করেন, যারা বাংলার সংস্কৃতি মেনে পথ চলার চেষ্টা করে বলে দাবি করেন, তাদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই তৃণমূলেরই এক সাংসদের বিরুদ্ধে একেবারে সংসদের মধ্যে ই সিগারেট খাওয়ার মত মারাত্মক অভিযোগ উঠলো। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আর কত বাংলার মানকে ডোবাবে এই তৃণমূল কংগ্রেস?

আজ সংসদে যে ঘটনা ঘটে গেল, তাতে বাঙালি হিসেবে লজ্জা লাগবে আপনার, আমার, প্রত্যেকেরই। যারা বিজেপিকে বাংলা বিরোধী দল বলে, তারা নিজেরা কতটা বাংলার সম্মান রাখতে পারছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। কিন্তু কি ঘটনা ঘটেছে? আজ সংসদের অধিবেশন কক্ষে ই- সিগারেট খাওয়ার মত অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক সাংসদের বিরুদ্ধে। যে ঘটনা নিয়ে সংসদে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। আর তারপরেই গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। এখন অনেকের মধ্যেই কৌতুহল যে, সেই গুণধর সাংসদ কে, যিনি এমন অপকর্ম করলেন?

এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো খবর পাওয়া না গেলেও এক তৃণমূলের সাংসদই যে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেই ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো গোটা ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা বাংলা ও বাঙালির কাছে অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। এইভাবে আর কত বাংলার জাত্যাভিমানকে গোটা দেশের কাছে প্রশ্নের মুখে ফেলবে এই রাজ্যের শাসক দল? যারা সংসদের অধিবেশনের গরিমাকে এইভাবে নষ্ট করে, তারা বাংলার সংস্কৃতির রক্ষা করবে, এটা ভাবাটাই তো একটা বড় বোকামি। বাংলাকে তো সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দিয়েছে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার সংসদেও একজন বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে গিয়ে যেভাবে এই রাজ্যের মান সম্মানকে ধুলুন্ঠিত করলেন এক তৃণমূল সাংসদ, তাতে এই দলটার ওপর কি আর ভরসা রাখা যায়? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।