প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মালদহের চাচল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি যে কাজ করেছেন, তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ও বাঙালির জন্য আওয়াজ তুলছেন, তার দলেরই ছাত্র নেতা পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে একেবারে কবিগুরুর ছবি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আর সেই ঘটনারই প্রতিবাদে আজ বিজেপির পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যেখানে আইসিসিআরের রবি ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সংস্কৃতি প্রেমীরা একটি পদযাত্রা করেন রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত। যেখানে রবীন্দ্র সদনের ভেতরে তারা প্রবেশ করে রবি ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ার আগেই রবীন্দ্র সদনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার ফলে বাইরে দাঁড়িয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

বলা বাহুল্য, কিছুক্ষণ আগেই শুভেন্দু অধিকারী সহ সংস্কৃতি প্রেমী জনসাধারণ রবি ঠাকুরের অপমানের প্রতিবাদে রবীন্দ্র সদনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে অন্যদিন রবীন্দ্র সদনের গেট খোলা থাকলেও, এদিন শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ার খবর পেয়ে আগেভাগেই সেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে এই রকম একটি সংস্কৃতি প্রেমী জায়গায় কোনোরকম অশান্তি করতে চাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। উল্টে যে মালা তিনি নিয়ে এসেছিলেন রবি ঠাকুরের গলায় পড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য, ভেতরে যে রবীন্দ্র প্রেমীরা ছিলেন, তাদের ডেকে সেই মালা যাতে রবি ঠাকুরের গলায় পড়িয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য তিনি আবেদন জানান। আর তারপরেই এইভাবে রবি ঠাকুরের অপমানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ জানাতে এসে তাদের যেভাবে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হলো না, তার বিরুদ্ধে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা সবাই আইনকে মান্যতা দিই। আমরা কেউ তালাও ভাঙব না, গেট টপকেও ঢুকব না। আমরা ফাঁক দিয়ে রবীন্দ্র অনুরাগীর হাত দিয়ে ফুল দিয়েছি, উনি মালা পড়িয়েছেন। আর গোটা বাংলা দেখলো, এই সময় রবীন্দ্র সদন বন্ধ থাকে না। আর এইখানে যারা রবীন্দ্র অনুরাগী এসেছে, প্রত্যেকের ইন্টারভিউ করুন। দলমত নির্বিশেষে, বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একটাই বলছে, ছিঃ মমতা ছিঃ।”