প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল চিকেন প্যাটিস বিতর্ক কাণ্ডে পুলিশের পক্ষ থেকে যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই তিন হিন্দু সনাতনীর জামিন হয়েছে। তারপর তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সংবর্ধিত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু যদি কেউ ভেবে থাকেন যে, তিনি এইটুকু কাজ করেই বসে ছিলেন, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। একদম প্রথম থেকে, যখন এই তিন হিন্দু সনাতনীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, একেবারে সেই সময় থেকে তাদের মুক্তি হওয়া পর্যন্ত তিনি যেভাবে লেগেছিলেন, তা হয়ত অনেকেই জানতেন না। ক্যামেরার পিছনে থেকে, প্রচারের আলোতে না থেকে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা থেকে শুরু করে কিভাবে এই তিন হিন্দু সনাতনীকে মুক্ত করা যায়, তার জন্য সারাদিন সমস্ত কৌশল অবলম্বন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি হয়ত অনেককেই তা জানতে দেননি। কিন্তু যারা দেখে ভাবছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী শুধু সংবর্ধিত করেই ক্ষান্ত থেকেছেন, তারা ভুল ভাবছেন। কারণ প্রথম থেকে এই শুভেন্দু অধিকারীর মত হিন্দু সনাতনী তিন হিন্দু সনাতনীর পাশে ছিলেন বলেই তারা যে জামিনে মুক্ত হয়েছেন, তা আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে, যেখানেই হিন্দুরা অত্যাচারিত হচ্ছেন, সেখানেই তাদের পাশে পৌঁছে যাচ্ছেন। ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠে চিকেন প্যাটিস কান্ড নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গিয়ে তিন হিন্দু সনাতনীকে গ্রেপ্তার করেছিলো। পরবর্তীতে গতকাল সন্ধ্যায় তারা জামিন পান। তবে সারাদিন ধরে যে পরিশ্রমটা শুভেন্দু অধিকারী দিয়েছিলেন, তা তিনি কাউকে জানতে দেননি। নীরবে নিভৃতে কাজ করে গিয়েছেন সৌমিক গোলদার সহ তিন জনকে মুক্ত করার জন্য। নিজে আইনজীবী পর্যন্ত দিয়েছিলেন এই তিন হিন্দু সনাতনীকে জামিন করানোর জন্য। তবে এর জন্য প্রচারের আলো বা ক্যামেরা, কোনো কিছুই প্রয়োজন হয়নি তার। আজ সেই কথাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি শুধু প্রেস কনফারেন্স বা সংবর্ধিত করিনি। সকাল থেকে ওদের বাড়িতে আমার লোক ছিলো। প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ আমি রেখেছি। অনেক আইনজীবী ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমিও আইনজীবী দিয়েছিলাম। আমাকে ওরা ওকালতনামা দিয়েছিল। ওদের বেল বন্ড থেকে শুরু করে যা যা করার সবটাই করেছি। শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে আসিনি। ক্যামেরার সামনে তো অনেক পরে আসতে হয়। তার আগে অনেক কাজ থাকে। সেই কাজগুলো নীরবে নিভৃতে আমি করেছি। আমি হিন্দুদের ক্ষেত্রে কমিটেড। পুলিশ অত্যাচার করবে, পাশে দাঁড়াতে হবে।”