প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনেকেই বলতে পারেন যে, এই রাজ্যে সব ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাক গলান না। অনেক জায়গায় পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ভালো হওয়ার জন্য, পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য অনেক প্রতিবাদীদের গ্রেপ্তার করে নেয়। কিন্তু সমস্ত কথা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন এবং এই রাজ্যে যেভাবে প্রতিবাদী থেকে শুরু করে হিন্দু সনাতনীদের ওপর অত্যাচার চলছে, তার সবকিছু সম্পর্কে যে তিনি অবগত, তা আজ একটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই চিকেন প্যাটিস কাণ্ডে যে তিনজন হিন্দু সনাতনীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তারা আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তবে আজ সকালেই কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দর্প সহকারে যে সমস্ত কথা বলতে শুরু করেছিলেন, তার ফলে একটা জিনিস বোঝা গেল যে, এই রাজ্যে প্রতিবাদী থেকে শুরু করে হিন্দু সনাতনীদের যেভাবে মুখ বন্ধ করার প্রয়াস চলছে, তার সবকিছুই খুব ভালো মতই জানেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আজ আবার তিনি সদর্পে দাবি করেছেন যে, সেই চিকেন প্যাটিস কাণ্ডে তিনজনকে নাকি তিনিই গ্রেফতার করিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে তারা জামিন পাওয়ার পর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্য রেখে যেভাবে হাঁটে হাড়ি ভাঙলেন, তাতে তিনি আরও বিপাকে পড়ে গেলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ কৃষ্ণনগরের সভা থেকে চিকেন প্যাটিস কাণ্ডে যে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মারাত্মক কথা বলে বসেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন যে, যারা সেই চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে ধরে মারধর করেছে, তাদের সবকটাকে তিনি গ্রেফতার করিয়েছেন। অর্থাৎ তার নির্দেশেই যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। আর এখানেই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রশ্ন। বিরোধীরা খোঁচা দিয়ে বলতে শুরু করেছেন যে, ইতিমধ্যেই তো সেই তিনজন জামিন পেয়ে গিয়েছে। ফলে এবার কি বলবেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
বিরোধীরা কটাক্ষ করে এটাও বলছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তো স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে প্রতিবাদী থেকে শুরু করে যারা যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে, তাদেরকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করা হবে। আর এই নির্দেশ যে একদম ওপরতলা থেকে আসছে, তা তো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। আর চিকেন প্যাটিস কান্ডে মূল ত্রুটি যে বিক্রেতার ছিলো, সেটাও সকলে জেনে গিয়েছেন। কারণ তিনি প্রথমে মিথ্যে কথা বলে ভেজ প্যাটিস বলে সেখানে তা বিক্রি করছিলেন। যেখানে গীতা পাঠের মত পবিত্র অনুষ্ঠান, সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে জানা সত্ত্বেও, চিকেন প্যাটিস থাকা সত্ত্বেও তিনি তা বেমালুম অস্বীকার করেছিলেন। যার ফলে সনাতনীরা তার প্রতিবাদ করেছিলো। আর তারপরে তাদেরকেই গ্রেফতার করে মুখ্যমন্ত্রী যে বড়াই করছেন, তাতে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে আইনের অপব্যবহার করছেন, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।