প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ইতিমধ্যেই আদালতে গিয়ে জয় পেয়ে জামিন হয়েছে সৌমিক গোলদার সহ তিনজনের। যারা ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের দিন যে ব্যক্তি চিকেন প্যাটিস বিক্রি করছিলেন, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, প্রতিবাদ করেছেন। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। কেননা বিভিন্ন জায়গায় রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, চিকেন প্যাটিস যিনি বিক্রি করছিলেন, তাকে নাকি নিরীহভাবে মারধর করেছেন এই সৌমিক গোলদার সহ বেশ কিছু মানুষ। কিন্তু বাস্তব যে আলাদা, তা পরবর্তীতে সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। যেখানে জানা যায় যে, সেই চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে প্রথমে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আপনি কি বিক্রি করছেন? তখন তিনি বলেন, এটা ভেজ প্যাটিস। পরবর্তীতে দেখা যায় যে, তার মধ্যে চিকেন রয়েছে। আর তারপরেই সনাতনীরা তাদের পবিত্র কর্মসূচিতে ইচ্ছাকৃতভাবে এই চিকেন প্যাটিস কেন বিক্রি করা হচ্ছে, আর কেনই বা সেই বিক্রেতা প্রথমে মিথ্যে কথা বললেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে কেন যারা প্রতিবাদ করলেন, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার করার মত পদক্ষেপ নিলো পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের আবেদন খারিজ করে সেই তিন সনাতনীকে জামিন দিয়ে দিয়েছে আদালত। তবে আজ সকালেই গোটা ঘটনায় গর্জে উঠেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যিনি চিকেন প্যাটিস বিক্রি করছিলেন, তাকে গ্রেফতার না করে, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে কেন এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো, কেন এই রাজ্যের পুলিশ এক্ষেত্রে এত সক্রিয় হলেও, যখন কালি মূর্তি ভাঙ্গা হয়, যখন জগদ্ধাত্রী পুজোতে বাধা দেওয়া হয়, তখন পদক্ষেপ নেয় না, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এই রাজ্যের পুলিশ যে সব সময় সনাতনীদের ওপর অত্যাচার করে, সব সময় হিন্দুদের সমস্ত কর্মসূচিতে বাধা দেয়, তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উঠে এসেছে। বারবার করে মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে ঢোকানো থেকে শুরু করে মহেশ তলায় তুলসী মঞ্চ উপড়ে ফেলার ঘটনায় সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বারবার করে দাবি করেছেন যে, রাজ্যে যে সরকার রয়েছে, তারা হিন্দু বিরোধী সরকার। এরা হিন্দুদের কোনো কর্মসূচিতে সহযোগিতা করে না। উল্টে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষন করার জন্য প্রতিমুহূর্তে সনাতনীদের ওপর অত্যাচার করা হয়। আর যখন ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে এক ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে চিকেন প্যাটিস বিক্রি করছিলেন, তারপরেও যারা সেই ঘটনায় প্রতিবাদ করেছেন, তাদেরকেই যেভাবে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর সেই বিষয়েই আজ সকালে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রীতিমত পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সৌমিক গোলদার সহ তিন হিন্দু সনাতনীকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “মমতা ব্যানার্জির একটা চোখ বন্ধ বলে ওদের গ্রেপ্তার করেছে। মমতা ব্যানার্জির পুলিশের উচিত, যে ওখানে ননভেজ বিক্রি করতে গিয়েছিল এবং মিথ্যে কথা বলে ঢুকেছে, তাকেও ধরা। তার বিরুদ্ধেও তো এফআইআর হয়েছে। আর এদেরকে ধরে নিয়ে এলেন, 41 এর নোটিশ দিয়েছেন? এরা কি জঙ্গি নাকি? যখন কালীপুজোতে কাকদ্বীপে কালী মূর্তি ভাঙলো, তার আসামী গ্রেপ্তার হয়নি কেন? মন্দির বাজারে জগদ্ধাত্রী মূর্তি ভাঙলো, তার আসামী গ্রেফতার হয়নি কেন?”