প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 
এই রাজ্যের বুকে হিন্দু সনাতনীদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। বারবার করে এই অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। আর তাদের সেই বক্তব্যকে সত্যি করেই সম্প্রতি ব্রিগেডে যে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে এক চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে ধরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু এই তিন হিন্দু সনাতনীর বিরুদ্ধে যে কথা রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তার সম্পূর্ণটাই যে মিথ্যা, পরবর্তীতে সেই তথ্য সামনে আসে। যেখানে জানা যায় যে, সেই প্যাটিস বিক্রেতা প্রথমে ভেজ প্যাটিস বলে তা বিক্রি করে। কিন্তু এত পবিত্র অনুষ্ঠানে ভেজ প্যাটিস বলে বিক্রি করে তিনি চিকেন প্যাটিস যেভাবে বিক্রি করেছেন, তার প্রতিবাদ করেন সেই তিন সনাতনী। আর পরবর্তীতে তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাদের মুখ বন্ধ করার প্রচেষ্টা করেছিল। কিন্তু গতকালই তারা জামিন পেয়ে যান। আর তারপরেই তাদের সংবর্ধিত করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল থেকেই সকলে তাকিয়ে ছিলেন আদালতের দিকে যে, তিন হিন্দু সনাতনীকে যেভাবে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়েছে, তাতে কি তারা জামিন পাবেন, তা নিয়ে সকলেই উৎকন্ঠায় ছিলেন‌। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়েছে। চিকেন প্যাটিসকে ভেজ প্যাটিস বলে বিক্রি করে যে ব্যক্তি এই গীতা পাঠের মত পবিত্র অনুষ্ঠানকে অপবিত্র করার চেষ্টা করেছিলেন, তার প্রতিবাদ করার জন্য যেভাবে তিন সনাতনীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাতে শেষ পর্যন্ত তাদের জেলে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। আদালতের নির্দেশে তারা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। আর তার ফলেই রীতিমত উচ্ছ্বসিত হিন্দু সনাতনীরা। এদিন তাদেরকেই সংবর্ধনা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি হিন্দু সনাতনীদের জন্য রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি।

ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের পুলিশ যে কালী মূর্তি ভাঙ্গা হলেও, সেদিকে নজর রাখে না, সেই কথা বলে এই তিন হিন্দু সনাতনীর গ্রেফতারি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটা চোখ বন্ধ। যেখানে কাকদ্বীপে কালি মূর্তি ভাঙ্গা হয়, যেখানে মন্দির বাজারে জগদ্ধাত্রী মূর্তি ভাঙ্গা হয়, সেখানে আসামীদের ধরতে পারে না এই রাজ্যের পুলিশ। কিন্তু গীতা পাঠের মত পবিত্র অনুষ্ঠানে ভ্যাজ পেটিস বলে যে ব্যক্তি চিকেন প্যাটিস বিক্রি করেছিলেন, মূল অপরাধ তার ছিলো। কিন্তু তারপরেও সেই ঘটনার যারা প্রতিবাদ করেছিলেন, সেই হিন্দু সনাতনীদের কন্ঠরোধ করতে তাদের রাত্রিবেলা বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়েছে। আসলে এই সরকার যে হিন্দু বিরোধী, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বলেই দাবি করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।