প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নারী নির্যাতন যেন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের মানুষ খুব ভালো মতই জানে যে, তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের কঠিন অবনতি হয়েছে। আর এই সরকারকে বিদায় না দিলে রাজ্য স্বাভাবিক গতি নিতে পারবে না। কিন্তু এতদিন রাজ্যের মানুষ রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতো। কিন্তু এবার যে ঘটনা রাজ্যের বুকে ঘটে গেল, তারপর গোটা দেশের সামনে মান সম্মান খোয়া গেল বাংলার। আর এর জন্য যে রাজ্যের প্রশাসনের গাফিলতি সবথেকে বেশি দায়ী, তাদের অবহেলার জন্যই যে একের পর এক এরকম ঘটনা ঘটছে এবং তার ফলে এবার ভিন রাজ্যের এক পড়ুয়ার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটে গেল, তার কারণেই যে গোটা দেশের সামনে এই সংস্কৃতির বাংলার অবনমন হলো, তা নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। আর সেই কথা তুলে ধরেই প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের বুকে ঘটে গিয়েছে একাধিক ভয়ংকর ঘটনা। আর যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, তাতে প্রশাসনের গাফিলতিকেই সব থেকে বেশি দায়ী করছে বিরোধীরা। তাদের একটাই বক্তব্য যে, প্রশাসন যদি সদর্থক ভূমিকা নিতো, তাহলে এইরকম অনেক ঘটনাকে এড়িয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু আরজিকর থেকে শুরু করে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটলো, তাতে লজ্জায় গোটা বাংলা। রাজ্যের মধ্যে প্রতিবাদ তো হচ্ছেই। তবে দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের যে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে সে ঘটনা ঘটেছে, সেই পড়ুয়া ওড়িশার বাসিন্দা। স্বাভাবিকভাবেই সেই রাজ্যের প্রশাসনের মধ্যেও নিজেদের ঘরের মেয়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে ওড়িশা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর যেভাবে ভিন রাজ্যের পড়ুয়া এই রাজ্যে পড়তে এসে তার সঙ্গে এই ধরনের ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেল, তাতে বাংলার মুখ গোটা দেশের সামনে আরও পুড়তে শুরু করেছে বলেই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “গোটা বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা বলে কিছু নেই। আরজিকরের ঘটনা একটা বড় আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল। তার আগে এবং তারপরে বহু এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে মান, সম্মানটা এতদিন ঘরের মধ্যে যাচ্ছিল। এবার বাইরেও মান সম্মানটা গেল। কারণ যে মেয়েটির সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই মেয়েটি ওড়িশার বাসিন্দা। সে আমাদের রাজ্যে পড়তে এসেছিল‌। আর পড়তে এসে তাকে ধর্ষিতা হতে হলো। মিডিয়ার মাধ্যমে যতটুকু জানতে পারা যাচ্ছে যে, গণধর্ষণ হয়েছে। এটা বাংলার কালিমা। এই রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসন বর্তমানে এসআইআর নিয়ে এতটাই কাউন্টার করতে ব্যস্ত যে, এরা কোনো মহিলা বা নারী সুরক্ষা নিয়ে একবিন্দুও চিন্তিত নন।”