প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বাংলার মানুষ অত্যাচার, অনাচারের বিরুদ্ধে পরিবর্তন এনেছিলেন ২০১১ সালে। তারা বিশ্বাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সততার প্রতীক, তার যে স্বচ্ছতা, তাকে দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর বামেদের অপশাসনের থেকেও পশ্চিমবঙ্গের বুকে যে অরাজকতা, যে চুরি, যে দুর্নীতি শুরু হয়েছে, তাতে বাংলার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। বামেরা সন্ত্রাস করলেও, এত চুরি, দুর্নীতি সেই আমলে ছিল না, যা তৃণমূল সরকারের আমলে শুরু হয়েছে। তাই এই চোরেদের বিতাড়িত করতে রাজ্যে পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে প্রত্যেকটি সভা থেকে দাবি করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করে আবাসের টাকা থেকে শুরু করে শৌচালয়ের টাকা এরা খেয়ে ফেলেছে বলে কটাক্ষ করতেন তিনি। তবে গতকাল বারাসাত মেডিকেল কলেজে যে ঘটনা ঘটে গেল, এবার সেই ঘটনা সামনে এনে তৃণমূল মৃত মানুষের চোখ তুলেও বিক্রি করে দিচ্ছে বলে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
গতকাল বনগাঁয় সভা করে ফেরার পথে যশোর রোডে বিক্ষোভের ফলে আটকে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। আর সেখানেই খবর পাওয়া যায় যে, বারাসাত মেডিকেল কলেজে পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক যুবকের দেহ মর্গে ছিল। আর সেখান থেকে তার চোখ খুবলে নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানায় পরিবার। আর তখন মুখ্যমন্ত্রী সঠিক তদন্ত যাতে হয়, তার নির্দেশ দেন। কিন্তু এই রাজ্যের বুকে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটবে? এতদিন তো চুরি, দুর্নীতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছিলো। কিন্তু এবার কি মৃত মানুষকেও ছাড়া হচ্ছে না? এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা? এই প্রশ্ন যখন বিভিন্ন মহলে উঠছে, ঠিক তখনই সেই ঘটনাকে সামনে এনে এতদিন তৃণমূল নেতাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট পর্যন্ত খেতে দেখেছে বাংলা। আর এবার তৃণমূল মৃত মানুষের চোখ তুলেও বিক্রি করে দিচ্ছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন তমলুকে পরিবর্তন সংকল্প সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই গতকাল বারাসাত মেডিকেল কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে, তার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “আপনি গতকাল বারাসাতে কি দেখলেন? তৃণমূল মৃত মানুষের চোখও তুলে বিক্রি করে দেয়। ভাবতে পারেন, কোন রাজ্যে বাস করছেন আপনারা? আমরা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল নেতাকে ব্যালট খেতে দেখেছি। এই সর্বভুক তৃণমূল সব খেয়ে হজম করে দিচ্ছে। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই চোরেদের হারাতে হবে।”