প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
কসবা কান্ডের ঘটনার পর গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে যে, শুধু কসবার মত কলেজে মনোজিৎ মিশ্রের মত দাদারা নয়, গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের দৌলতে তাদের ছাত্রনেতারা এক একজন মনোজিৎ মিশ্র হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন কলেজেই এদের দাপাদাপি লক্ষ্য করা যায়। এমনকি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে সাসপেন্ড হওয়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেত্রী রাজন্যা হালদারও সেই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন। আর তার মধ্যেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংসদীয় এলাকা বালুরঘাট থেকে এলো বড় খবর। যেখানে বালুরঘাট কলেজের ইউনিয়ন রুমে বসে মদ্যপান করছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ২০২২ সালের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। যদিও বা সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু মিডিয়া।
কি ঘটনা ঘটেছে? গতকাল এক্স হ্যান্ডেইলে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। আর সেই ভিডিও ঘিরেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন যুবক-যুবতী মিলে মদ্যপান করছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, “বালুরঘাট কলেজের ইউনিয়ন রুমে ক্যাম্পাসের ভেতরেই মহিলাকে নিয়ে মদ্যপান টিএমসিপি সভাপতির। মদ, মহিলা ও নোংরা রাজনীতি, এটাই তৃণমূলের আসল মুখ। কসবা থেকে সন্দেশখালি, টিএমসিপি ইউনিয়ন রুম, পার্টি অফিস আসলে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ডেরা। তৃণমূলে যোগ দিতে হলে হয় আপনাকে বিকৃত মনস্ক হতে হবে, নয়ত আক্রমণকারী হতে হবে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই কসবার ঘটনায় তৃণমূল যথেষ্ট অস্বস্তিতে। তাদেরই প্রাক্তন নেত্রী রাজন্যা হালদার যেভাবে সোচ্চার হয়েছেন, তা তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তার মধ্যেই যেভাবে বালুরঘাট কলেজের ভেতরে ইউনিয়ন রুমে মদ্যপান করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে, তাতে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে শাসক দলের মধ্যে। বিরোধীদের অভিযোগ অনুযায়ী স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র কসবার মধ্যেই এই মনোজিৎ মিশ্ররা সীমাবদ্ধ নেই, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ থেকে একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে উঠে আসার কারণে রাজ্যের কলেজে নির্বাচন না হওয়ার জন্য যে তৃণমূলের ছাত্র নেতারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছেন, তা বিজেপির প্রকাশ করা এই ভিডিওর মধ্যে দিয়ে আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের। তবে যে ভিডিও বিজেপি পোস্ট করেছে, তার যদি বিন্দুমাত্র সত্যতা থাকে, তাহলে তদন্ত করে শাসক দল বালুরঘাট কলেজের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।