প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গোটা রাজ্য জুড়ে যেখানেই বিরোধীরা প্রতিবাদ করে, সেখানেই পুলিশ দিয়ে তাদের বাধাদান করা হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন বিষয়ে এই রাজ্যের বুকে পুলিশের বিরুদ্ধেই দলদাসের মত আচরণ করার অভিযোগ তলে বিরোধীরা। তবে আজ জনতার কাছে সেভাবে গ্রহণযোগ্য না হলেও বামেদের পক্ষ থেকে ডাকা সারা ভারতের যে ধর্মঘট, সেই ধর্মঘটকে সফল করতে পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয় হতে দেখা যায় বাম কর্মী সমর্থকদের। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের ধর্মঘটকে সমর্থন করবে, নাকি করবে না, সেটা তো সাধারণ মানুষের ব্যাপার। আর সেখানে যেভাবে বনধ সমর্থনকারী সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তাতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। যেখানে বীরভূমের কীর্নাহারের চৌরাস্তা মোড়ে বনধের সমর্থনে প্রচার শুরু করেন বাম কর্মীরা। আর সেখানেই তৃণমূল তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতির মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
বামেদের অভিযোগ, তারা বনধের সমর্থনে প্রচার করছিলেন। আর সেই সময় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা এসে তাদেরকে বাধা দেয়। এমনকি যারা বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায় শাসক দলের কর্মীরা। বনধকে কেন সমর্থন করে রাস্তায় নামা হয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যাপক চড়, ঘুসিও চালানো হয় বলে অভিযোগ আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে কি বিরোধীদের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার মত পরিস্থিতি নেই, তা নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বামেরা। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়ে অবিলম্বে পুলিশকে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেও দাবি উঠতে শুরু করেছে বনধ সমর্থনকারীদের পক্ষ থেকে।