প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসির পক্ষ থেকে ১৮০৪ জনের দাগি অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই তালিকা অসম্পূর্ণ, এর পেছনে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করা জরুরি। তবে যোগ্যরা দাবি করতে শুরু করেন, যখন অযোগ্যদের নাম প্রকাশ করাই হয়ে গিয়েছে, তখন এবার যোগ্যদের পুনর্বহাল করা হোক, তারা কোনো মতেই পরীক্ষাতে বসবে না। আর এই সমস্ত দাবির মাঝেই অযোগ্যদের তালিকায় থাকা প্রায় ৩৫০ জন দাগি শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। যেখানে এসএসসির পক্ষ থেকে যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে, তাতে অংশ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তারা। তবে আজ তাদের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে।
প্রসঙ্গত, গতকালই এসএসসি পক্ষ থেকে যে ১৮০৬ জন দাগি অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৩৫০ জন কলকাতা হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।যেখানে এসএসসির নতুন প্রক্রিয়ায় তারা যাতে অংশ নিতে পারেন, তার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন। আর সেই সময় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য মামলা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন, তাই এই মামলায় তারা কিভাবে হস্তক্ষেপ করবেন! তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও বা মামলা কারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী তাদের বক্তব্য যেন শোনা হয়, এই আবেদন করেন। আর তারপরেই তাতে সম্মতি দেন বিচারপতি। আর আজ সেই মামলা শোনার পরেই অযোগ্য দাগি শিক্ষকদের যে অংশ কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন, তাদের সেই আবেদন সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিলেন বিচারপতি।
কি ঘটনা ঘটেছে আদালতে? জানা গিয়েছে, এদিন দাগি অযোগ্যদের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরেই বড় মন্তব্য করেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ১৮০৬ জনের নথি খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্ট যখন দাগিদের স্কুলে যেতে বারণ করেছিল, তখনই সমাধান খোঁজা উচিত ছিল মামলাকারীদের। দাগি শিক্ষকরা কি এখনও কাজ করছেন? তাহলে আপনারা আগে আদালতে আসেননি কেন?” পাশাপাশি বিচারপতি বলেন, “এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই এই ব্যাপারে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না।” অর্থাৎ দাগি অযোগ্যদের একটা অংশ যেভাবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন, তাদের সেই আবেদন পুরোপুরি খারিজ করে দিলো কলকাতা হাইকোর্ট।
