প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গোটা বাংলায় যখন ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে এসআইআর হবে বলে মনে করা হচ্ছে, ঠিক তখনই আতঙ্কিত হয়ে যা ইচ্ছে তাই বলা শুরু করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিজেপি। কেননা মুখ্যমন্ত্রী এখন গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়ে নিজে ক্ষমতায় থাকবার জন্য এবং বাঙ্গালীদের ভোট পাওয়ার জন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিরা নির্যাতিত হচ্ছেন বলে ক্রমাগত অভিযোগ করে যাচ্ছেন। গতকাল তিনি একটি দিল্লী পুলিশের চিঠিকে হাতিয়ার করে সেখানে বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশী ভাষা বলে উল্লেখ করার ঘটনায় প্রতিবাদ করেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকেই মিথ্যাচার বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী ভাষাগত সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা করছেন বলে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
বস্তুত, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লী পুলিশের একটি চিঠিকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হন। যেখানে বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশী ভাষা বলে উল্লেখ করার প্রতিবাদ জানান তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকেই কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খণ্ডন করে পাল্টা যুক্তি দেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী ভাষাগত সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এর জবাবদিহি তাকে করতে হবে। ঠিক কি বলেছেন এই বিজেপির শীর্ষ নেতা?
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই অমিত মালব্য বলেন, “বাংলাকে বাংলাদেশি ভাষা বলা হয়নি। উল্লেখ নেই দিল্লি পুলিশের চিঠিতে। মমতার প্রতিক্রিয়া ভুল নয়, বিপজ্জনক। উস্কানি দিচ্ছেন ভাষাগত সংঘাতের। এর জবাবদিহি করতে হবে।” অর্থাৎ বাংলা ও বাঙালি নিয়ে, তাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত যে কথা বলে যাচ্ছেন, তাকে একেবারে খণ্ডন করে দিলেন বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। তিনি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত কথা বলছেন, তা ভাষাগত সংঘাতের সৃষ্টি করছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি নেতার এই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিককালে করা বিভিন্ন মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।