প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিহারে এসআইআরের প্রতিবাদে আজ একটি কর্মসূচি ছিল বিরোধী জোট ইন্ডির। যেখানে ২০০ জন সাংসদ একত্রিত হয়ে সংসদ ভবনের বাইরে জমায়েত করে তারা নির্বাচন কমিশনের দপ্তর পর্যন্ত যাবেন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল যে, আদৌ কি তারা পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়েছে? ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, না, এরকম কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে তারপরেও যে যুক্তি বিরোধী জোট ইন্ডির এক সাংসদ দিলেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, একজন সাংসদ কি এভাবে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারেন?

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই ইন্ডি জোটের এই কর্মসূচি ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে সেই প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে তো পুলিশের অনুমতি নিতে হবে! কিন্তু দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এরকম কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, সাংসদরাই যদি আইন ভাঙ্গেন, তাহলে দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে কি শিখবেন? কেন তারা সংসদ ভবনের বাইরে থেকে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চাইলো না? আর এসবের মধ্যেই এই অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামগোপাল যাদব।

এদিন দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য জানানো হয়, তার পরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামগোপাল যাদব। তিনি বলেন, “দিল্লির রাস্তায় হাঁটার জন্য সাংসদদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সাংসদদের রাস্তায় নামা যদি সত্যিই ঝুঁকির কারণ হয়ে থাকে, তাহলে এই প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকাই তো অর্থহীন।” আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, একজন সাংসদ কিভাবে এই কথা বলতে পারেন? তিনি প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা বলছেন, অথচ যে কোনো জায়গায় এই ধরনের কর্মসূচি করতে গেলে তো পুলিশের একটা অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু সেই অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে তিনি তো সরাসরি আইনকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন! যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।