প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে দিলীপ ঘোষের যাওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে বিজেপির একটি অংশের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। তবে নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য হওয়ার পর তাকে সংবর্ধনা দেওয়া থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তিনি আপাতত বিজেপিতেই থাকছেন। মাঝে ২১ জুলাই তিনি কি করবেন, দলবদল করবেন কিনা, তা নিয়ে একটা জল্পনা ছড়ালেও এখন সেরকম কিছু শোনা যাচ্ছে না। আর তার মধ্যেই আজ নরেন্দ্র মোদী যখন রাজ্যে আসছেন, তখন কর্মীদের ডাকে তিনি সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে প্রথমে জানিয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই কর্মসূচিতে না গিয়ে তিনি সোজা দিল্লি উড়ে গেলেন। আর দিল্লিতে গিয়েই দিলীপ ঘোষ যে পদক্ষেপ নিলেন, তার ফলে আরও জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

প্রসঙ্গত, আজ সকালেই দিল্লী উড়ে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। যেখানে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করতেই তিনি জানিয়ে দেন যে, “কর্মীরা তাকে ডেকেছিলেন। কিন্তু দল তাকে ডাকেনি। হয়তো পার্টির অস্বস্তি হবে, তাই পার্টি ডাকেনি। তাই তিনি দিল্লিতে পার্টির কাজে যাচ্ছেন।” আর তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে, দিলীপ ঘোষ কি দিল্লিতে গিয়ে আরও বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? নিজের রাজনৈতিক জীবনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, তার দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে সামনে এলো বড় আপডেট।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ একটি মেগা বৈঠক করতে চলেছেন। যেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দুপুর ১ টা নাগাদ তার বৈঠকের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন বাংলায় আসছেন, তখন সেই সভায় না গিয়ে দিলীপ ঘোষ একেবারে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে ঠিক কোন বিষয় নিয়ে বৈঠক করছেন? বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই এর পেছনে দুটি কারণকে সামনে আনছেন। যার ফলে একটা বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে যে, দিলীপ ঘোষের আজকের এই বৈঠক তার ভবিষ্যৎ জীবনের বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের গতিপথ তৈরি করে দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিলীপ ঘোষ চেষ্টা করেছেন বঙ্গ রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সভায় তিনি দলের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত না হওয়ায় যথেষ্ট অপমানিত হয়েছেন। আর সেই কারণেই আজ ইচ্ছে থাকলেও সেই সভায় না গিয়ে সোজা দিল্লিতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করে দলে তার রোল কি হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাইছেন। আর দ্বিতীয়ত, যদি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে দিলীপ ঘোষ সেরকম কোনো ভালো সংকেত না পান, তাহলে হয়ত আজকের বৈঠকের পরেই তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন, যার ফলে বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হতে পারে ভূমিকম্প। তবে বিশেষজ্ঞদের এই মতামতের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল পাওয়া যায় কিনা, সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পরে কি সিদ্ধান্ত নেন দিলীপ ঘোষ, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।