প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-আজ সকাল থেকেই বাম এবং কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের ডাকে গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই ধর্মঘট কোনোভাবেই সফল হবে না বলে দাবি করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই বনধ সফল করতে মাঠে নেমেছেন বনধ সমর্থনকারীরা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে গোটা দেশজুড়ে এই ধর্মঘটের ফলে কতটা ব্যাহত হবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা?
বলা বাহুল্য, সাত সকাল থেকেই বনধের সমর্থনে আন্দোলন কারীরা রাস্তায় নেমেছেন। গোটা রাজ্য জুড়েই বনধের সমর্থনে শুরু হয়েছে মিছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল অবশ্য বনধকে ব্যর্থ করতে সরকারি কর্মীদের অফিসের হাজিরা বাধ্যতামূলক হিসেবে নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে এই ধর্মঘটের ফলে কতটা স্বাভাবিক থাকবে ব্যাংক পরিষেবা, আদৌ কি ব্যাংকগুলিতে গিয়ে পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ জন? নাকি ধর্মঘটের দিন ঘুরে আসতে হবে তাদের? সাত সকালেই গুরুত্বপূর্ণ কাজে যারা ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন, এখনই জেনে নিন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই আপডেট।
জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে ১০ টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এবং শিল্পভিত্তিক ফেডারেশনের ডাকা এই বনধের ফলে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে ব্যাংক পরিষেবায়। ব্যাংকের কর্মচারীদের যে বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে, তারাও এই ধর্মঘটে শামিল হবে বলেই জানা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক এবং এটিএম পরিষেবা যথেষ্ট ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে আজকের দিনে ব্যাংকে যাওয়ার মত বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দিনের শেষে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা দেশব্যাপী এই ধর্মঘট কতটা সফল হয়, কতটা তার প্রভাব পড়ে রাজ্যে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।