প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে আজ একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো। যা ভারতবর্ষের জন্য অত্যন্ত গৌরবের, অত্যন্ত সম্মানের, ধর্মের এবং হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের। প্রায় ৫০০ বছরের প্রতীক্ষা ছিল গোটা ভারতবর্ষের হিন্দু সনাতনীদের কাছে যে, কবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। অবশেষে গত বছরের ২২ জানুয়ারি এই রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে কাজ কিছুটা অসম্পূর্ণ ছিল। আর আজ সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়ে গেল। মহাসমারোহে সনাতনী রীতিনীতি সংস্কৃতিকে বজায় রেখে আজ সেই রাম মন্দিরের ধ্বজা উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে যারা ভারতবর্ষের হিন্দু সনাতনী রয়েছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন যে, এই রাম মন্দিরের পুরো কাজ সম্পূর্ণ কবে হবে, তা দেখার জন্য, তারা হয়ত অনেকেই সময় বের করে আজ অযোধ্যায় যেতে পারেননি। কিন্তু তাতে কোনো অসুবিধা নেই। অযোধ্যাতে এই পুণ্যলাভের জন্য প্রচুর মানুষ গেলেও, যারা যেতে পারেননি, তারা কিভাবে পুন্য সঞ্চয় করবেন, ধ্বজা উন্মোচনের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় ধ্বজা উন্মোচনকে কেন্দ্র করে অযোধ্যায় যেন সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই পুজো পাঠ শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকাল থেকেই আঁটোসাঁটো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আজ প্রধানমন্ত্রী সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে গিয়েছে অযোধ্যায়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার যে অবসান হয়েছে ভারতবর্ষের হিন্দু সনাতনীদের কাছে, প্রত্যেক রাম ভক্তদের কাছে যে আজ গর্বের দিন, প্রায় ৫০০ বছরের প্রতীক্ষা পূরণের জন্য, সেই কথাই উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, অনেকেই হয়ত ভাবছেন যে, এত মানুষ অযোধ্যায় এই রাম মন্দিরের যে কাজ, তার যে বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো, এত আনন্দ করছে, অনেকেই হয়ত বাড়িতে বসে আফসোস করছেন যে, তারা যেতে পারলেন না। তারা একবারের জন্য রামলালার দর্শন পেলেন না আজকের মত পবিত্র দিনে। কিন্তু সকলের পক্ষেই তো পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই যারা পৌঁছতে পারেননি, যারা রামভক্ত হয়ে বাড়িতে টিভির পর্দায় নজর রেখেছেন, তারা কি করে সেই পুণ্যলাভ করবেন, সেই কথাই উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন অযোধ্যায় ধ্বজা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “৫০০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। দীর্ঘ সময়ের ক্ষত পূরণ হলো। আজ সম্পূর্ণ ভারত, সারা বিশ্ব রামময়। অযোধ্যা নগরী দেশের উৎকর্ষ কেন্দ্র। এই ধ্বজা ভারতীয় সভ্যতার পুনর্জাগরণের ধ্বজা। এই ধজা সংকল্প, সাফল্য, সংঘর্ষে জয়ের গাঁথা। এই ধ্বজা সন্তদের সাধনার সার্থক পরিণতি। সত্যই ব্রহ্মের স্বরূপ, সত্যেই ধর্ম স্থাপিত হয়। বিভেদ, পীড়া, সঙ্কটা থেকে মুক্তির প্রতীক এই ধর্ম ধ্বজা। আমরা এমন সমাজ বানাব, যেখানে গরীব, দুঃখী না থাকে। মন্দিরে আসতে না পারলে দূর থেকে প্রণাম করলেই সমান পুন্য হবে। সম্পূর্ণ বিশ্বের কোটি কোটি রাম ভক্তকে শুভকামনা জানাই। রাম মন্দির নির্মাণে সাহায্যকারী ভক্তদের প্রণাম করি। মন্দির নির্মাণকারী শ্রমিক কারিগরদের প্রণাম জানাই।”