প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন যে, সংখ্যালঘুদের তিনি একত্রিত করতে পারলেও, হিন্দুদের একত্রিত করতে পারেননি। হিন্দুরা ধীরে ধীরে বিজেপির দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। আর সেই কারণেই কিছুদিন আগে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করেছেন তিনি। তবে সরকারি টাকায় যে মন্দির হয় না এবং এটা যে একটা কালচারাল সেন্টার, তা তথ্য প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি অনেকদিন আগেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে একটি কথা বলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরের বাইরে লেখা রয়েছে, হিন্দু ছাড়া কেউ মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। তাহলে দীঘাতে যদি সেই জগন্নাথ মন্দিরই করা হয়, তাহলে কেন সেই লেখার ক্ষমতা এই রাজ্য সরকারের হলো না? তাহলে কি এটা প্রকৃত হিন্দুত্বের পরিচয়? কেন মুখ্যমন্ত্রী পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মত দীঘায় জগন্নাথ মন্দির করলেও, তার সমস্ত নিয়ম পালন করলেন না? উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে এই বিষয়ে আরও একবার মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন থেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিভিন্ন সময় সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, দীঘায় যেটা হয়েছে, সেটা মন্দির নয়। সেটা একটা কালচারাল সেন্টার। এমনকি সরকারি তথ্যও সেই কথা বলছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর সরকারি টাকায় যে মন্দির হয় না, রাম মন্দির করতে যে ট্রাস্ট ছিল এবং সেখানেই যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অর্থ দিয়ে সেই মন্দির করতে সহযোগিতা করেছিলেন, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। আর গতকাল উত্তরবঙ্গে মহাকাল মন্দিরের বিষয়টি উত্থাপন হতেই দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে কেন এখনও এই কাজ করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সরকার, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন উত্তরবঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, পুরীতে যে জগন্নাথ মন্দির আছে, তার গেটে লেখা রয়েছে, চারটি ভাষাতে। উৎকল, তেলেগু, তামিল এবং বাংলাতে। সেখানে লেখা রয়েছে, এখানে হিন্দু ব্যতীত কেউ ঢুকতে পারবে না। মমতা ব্যানার্জি দীঘার মন্দিরে লিখতে পারেননি যে, হিন্দু ব্যতীত কেউ ঢুকতে পারবেন না। হিন্দুদের যে রীতিনীতি, তাকে মমতা ব্যানার্জি মানেন না। এখন উনি দেখছেন, মুসলিমদের এক করে তো আমি ভোট নিয়েছি। এখন হিন্দুরা এক হচ্ছে। আর সেই কারণেই ওনাকে মন্দির রাজনীতি করতে হচ্ছে।”