প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে তৃণমূলের জেলা স্তরে যে সমস্ত নেতাদের নাম খবরের শিরোনামে প্রতিনিয়ত দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। মাঝেমধ্যেই শুধুমাত্র রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, একেবারে হুমকি, হুঁশিয়ারি শোনা যায় তার মুখে। ক্রমাগত বিরোধীদের উদ্দেশ্যে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া থেকে শুরু করে হাত-পা বেঁধে মারার মত হুমকি দিতে দেখা যায় তাকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে, একজন বিধায়ক কি করে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন? তবে এবার সেই তৃণমূল বিধায়ককেই রীতিমত লজ্জার মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, গোটা রাজ্য জুড়ে যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা প্রতিনিয়ত হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেন, তার মধ্যে একজন খুব বেশি করে খবরের শিরোনামে আসছেন। তিনি হলেন, তৃণমূলের বিধায়ক এবং মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। তবে এখন সেই তৃণমূলের বিধায়ক বড় বড় কথা বললেও, একসময় শুভেন্দু অধিকারী যখন মালদহ জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন, তখন তার গাড়ির দরজা খুলে দিতেন এই তৃণমূল নেতা? না, এই কথাটা আমরা বলছি না। নিজের মুখেই আজ সেই কথা বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে তৃণমূলের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীকে “পচা মাল” বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করতেই আজকের দিনটাই এই ব্যক্তিকে নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য তার খারাপ যাবে বলেও টিপ্পনি কাটেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমার দিনটাই খারাপ করলেন। একটা পঁচা মাল। আজেবাজে কথা বলে। আমি যখন মালদহ জেলা তৃণমূলের অবজার্ভার ছিলাম, আমার গাড়ির দরজা কে খুলবে, তা নিয়ে কম্পিটিশন হতো। তার মধ্যে এই আব্দুর রহিম আগে থাকতো। আরএসপির মাল, বামফ্রন্ট করতো। অনেক চাকরি বেচেছে। এখনও ছেলেকে দিয়ে করছে। একদিন আমার হাত ধরেও তৃণমূলে জয়েন করে।”

বিজেপির দাবি, এরপরেও যদি লজ্জা থাকে, তাহলে আব্দুর রহিম বক্সী আর কোনো কথা বলবেন না। রাজনীতিতে আক্রমণ থাকতে পারে। কিন্তু তিনি যে ভাষায় কথা বলেন, তা সমাজ বিরোধীদের ভাষা। প্রতিনিয়ত এভাবেই মালদহ জেলায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আজ শুভেন্দু অধিকারী সেই আব্দুর রহিম বক্সির ভান্ডা ফোঁড় করে দিলেন। এখন তৃণমূলের বড় নেতা হলেও, একসময় শুভেন্দু অধিকারীর শরণাপন্ন হয়ে তার গাড়ির দরজা পর্যন্ত খুলে দিতেন। আর আজকে তৃণমূল তাকে নেতা করে যতই হুমকি দিন না কেন, দিনের শেষে মালদহেও এবার তৃণমূল শূন্য হয়ে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।