প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল দল এবং সরকার মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। দল থেকে যেটা বলে দেওয়া হয়, সেটাই পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারকে করতে হয়। বারবার দলতন্ত্রের এই অভিযোগ সামনে এনেছে বিজেপি। অনেক ক্ষেত্রে তাদের অভিযোগ সত্য বলেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এবার বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে দলের পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির যারা জনপ্রতিনিধি, তারা যদি দলের কথামত কাজ না করেন, তাহলে তাদের কলম কেড়ে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

জানা গিয়েছে, এদিন পাত্রসায়রে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করে বসেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত দত্ত। এক্ষেত্রে দলের কাজ না করলে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্য ঘিরে রীতিমত খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, হেরে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তাই এখন থেকেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “কলমটা কেড়ে নেব। ব্লক সভাপতি যদি না করে, আমি জেলা সভাপতি হিসেবে হস্তক্ষেপ করব। মাথায় যেন থাকে, পরিষ্কার ভাষায় বলে গেলাম। আর ব্লক সভাপতি সহ তার টিমকে আমি অবগত করে গেলাম, কোনো সদস্যের নিষ্ক্রিয়তা আমি কিন্তু কোনোভাবেই মেনে নেব না।” অর্থাৎ শুধুমাত্র দলীয় পদে যারা রয়েছেন, তারাই নয়। যারা দলের টিকিটে জিতে এখন জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, সেই পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি, এমনকি জেলা পরিষদের সদস্যরাও যদি দলের কাজ না করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও যে তিনি পদক্ষেপ নেবেন, হুঁশিয়ারি দিয়ে সেই কথাই জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। যা নিয়ে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।