প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগেও একাধিকবার দলের পক্ষ থেকে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রকাশ্যে তিনি দলের সম্পর্কে যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তাতে দল অস্বস্তিতে পড়েছে। কিন্তু সতর্ক বার্তা দেওয়ার পরেও যে তিনি তার অবস্থানে স্থির রয়েছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তিনি খুব ভালো মতই বুঝতে পারছেন যে, এবার তিনি যে সমস্ত কথা বলেছেন, তাতে দল তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। তাকে আবার বহিষ্কার করার মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে দলের পক্ষ থেকে। তবে দল কি সিদ্ধান্ত নেবে, তা তো সময় বলবে। কিন্তু সেই রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে, তা বুঝতে পেরে আগেভাগেই পাল্টা দল যদি তাকে বের করে দেয়, তাহলে তিনিও দলকে বুঝিয়ে দেবেন যে, মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজনীতি কি করে করতে হয়। হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন তেমনটাই বললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কিন্তু যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে দল এইভাবে প্রকাশ্য মন্তব্য করার কারণে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হতে পারে, এটা বুঝতে পেরেই আগাম দলকে বার্তা দিয়ে বসলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তিনিও বুঝিয়ে দিলেন, দল যদি তার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তিনিও বুঝিয়ে দেবেন, কিভাবে পথ চলতে হয়। এক্ষেত্রে তিনিও দলকে চরম শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাল্টা কৌশল যে তৈরি করে রেখেছেন, নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেই কথাই স্পষ্ট করে দিলেন হুমায়ুনবাবু।

এদিন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “দল বিরোধী তোমরা করাচ্ছো, তাই দল বিরোধী হচ্ছে। বের করে দাও না। আমি তো বেরিয়েই যেতে চাই‌। বের করে দাও। তারপরে বোঝাবো, মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজনীতি কাকে বলে।” আর তারপরেই মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের যে সমস্ত নেতৃত্বদের নিয়ে তার আপত্তি রয়েছে, তাদের নাম একে একে উল্লেখ করেন এই তৃণমূল বিধায়ক। খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “এদের ছবি টাঙিয়ে দিলেই ভোট খুব সুন্দর ভাবে হয়ে যাবে।” তবে তৃণমূল বিধায়ক যেভাবে স্পষ্ট ভাষায় দল তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেও যে তার কিছু এসে যায় না, তিনি যে দলের বিরুদ্ধে পাল্টা এই মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়ে দিলেন, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।