প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সমস্ত জায়গায় রাজনীতিকরণ হয়েছে। এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলায় জেলায় যারা সভাপতি পদে বসে রয়েছেন, তারাও রাজনৈতিক লোক হিসেবে বসে রয়েছেন। বেশিরভাগ জায়গাতেই দেখা যাবে যে, তারা তৃণমূলের বড় মাপের নেতা। স্বাভাবিকভাবেই ডিপিএসসির চেয়ারম্যান পদে আদৌ এইভাবে কাউকে বসানো যায় কিনা, তা নিয়েই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়েছে। আর এসআইআর প্রক্রিয়া যখন রাজ্যে শুরু হয়েছে, যখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলওরাড় তখন তাদের ওপর যেভাবেই হোক, প্রভাব বিস্তার করার একটা চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে হচ্ছে। আর এবার সেই সমস্ত ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের কাজে লাগিয়ে বিএলও হিসেবে যারা প্রাথমিক শিক্ষক রয়েছেন, তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা কি শুরু করে দিলো এই রাজ্যের শাসক দল? ইতিমধ্যেই ডোমজুড়ের একটি ঘটনায় নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সেই সমস্ত ডিপিএসসির চেয়ারম্যানদের ভূমিকা নিয়ে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রধান ভূমিকা রয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের। বিজেপি দাবি করছে, তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। অধিকাংশ জায়গায় সেই বুথ লেভেল অফিসাররা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন। অনেকে আবার শাসকের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকে পুরোপুরি তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছেন বলেই অভিযোগ বিজেপির। তবে সম্প্রতি ডোমজুড়ের একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে সরকারি পদে থেকে ডিপিএসসির চেয়ারম্যান বিএলওর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ। আর সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ডিপিএসসি চেয়ারম্যান পদে যারা বসে রয়েছেন, তারাই অবৈধ বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই ডিপিএসসির চেয়ারম্যানের চাপ প্রয়োগ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এই সময়কালে ওরা বিএলও প্রাথমিক শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত এবং ভয় দেখানোর জন্য যেটা করেছে, সেটা হচ্ছে, যে স্কুলে ছাত্র বা ছাত্রী অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি, তাকে নো টিচার বা সিঙ্গেল টিচার্স স্কুলে ট্রান্সফার। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ায় অর্থের বিনিময়ে ২২ টি ট্রান্সফার হয়েছে। ওখানে ডিপিএসসির যিনি চেয়ারম্যান, তিনি পলিটিক্যাল লোক। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি কেসে মাননীয় বিচারপতি বলেছেন, ডিপিএসসির নমিনেটেড চেয়ারম্যান, এটাই অবৈধ। এটা স্বাভাবিক। তবে মেরুদন্ড সোজা রাখার বিএলওর সংখ্যাও অনেক রয়েছে।” এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষক, শিক্ষিকা যারা রয়েছেন, যারা বিএলওর দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কাছে কোনো চাপ এলেও তারা যাতে নতি স্বীকার না করেন এবং কোথাও যদি কোনো বিপদে পড়েন, তাহলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও আশ্বাস দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।