প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে একদিকে যখন দুর্গাপুরের ঘটনা নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি, যখন সেখানে আবার আরজিকর কান্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন সকলে, ঠিক তার মধ্যেই উত্তরবঙ্গে ঘটে গিয়েছে আরও এক পৈশাচিক ঘটনা। যেখানে নাতনির বয়সী এক শিশু কন্যাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ৬১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ডালিম মহম্মদ নামে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যে ঘটনা জলপাইগুড়ির এই রাজগঞ্জে ঘটেছে, তা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। গতকালই সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছে গেল নির্যাতিতার বাড়িতে।

বলা বাহুল্য, গতকাল দুর্গাপুরের ঘটনা সামনে আসার পর এর বিরোধীরা সোচ্চার হতে শুরু করেছেন। যেভাবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসককে নির্যাতিত হতে হলো, তা নিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে একেবারে তলানিতে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তবে শুধু দুর্গাপুর নয়, এই রাজ্যের উত্তরপ্রান্তে অর্থাৎ উত্তরবঙ্গেও আরও এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১৩ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ৬১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। গতকালই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, সেই নাবালিকা এবং তার পরিবারের পাশে সব সময় রয়েছে বিজেপি। আর নিজের দেওয়া কথা রেখে আজ বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছে গেল নির্যাতিতার বাড়িতে।

জানা গিয়েছে, আজ জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে নির্যাতিতা সেই নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন, শিখা চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। আর সেখানেই তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও বিজেপি যে তাদের পাশে রয়েছে, সেই ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি বিধায়কদের এই প্রতিনিধি দল। শুধু তাই নয়, এই নাবালিকা যাতে ভবিষ্যতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে এবং তার যাতে কোথাও কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্যও আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। আর যেভাবে উত্তর থেকে দক্ষিণ, যেখানেই মানুষের ওপর যে কোনো ধরনের অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে, সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে বিজেপি। ফলে এই রাজ্যের বুকে বিপদের বন্ধু হিসেবে একমাত্র বিরোধী দল বিজেপিই রয়েছে বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।