প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে মহিলাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেখানে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেখানে ওড়িশার এক মেয়ের সঙ্গে এই রাজ্যের বুকে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তারপর স্বাভাবিকভাবেই আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণে বিরোধী দল প্রতিবাদে নামবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই রাজ্যের পুলিশ কাউকে কোনো প্রতিবাদ করতে দেবে না। তারা যখন মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না, তখন বিরোধীরা তাদের আওয়াজ পর্যন্ত তুলতে পারবে না। এটাই এখন এই রাজ্যের আইন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে রীতিমত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুর্গাপুরে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসককে যে গণধর্ষণ করা হয়েছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুরে যে সেই বিক্ষোভ কর্মসূচি আরও বৃদ্ধি পাবে, তা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়‌। আজ বিজেপির পক্ষ থেকে দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারের কাছে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই মঞ্চ তৈরিতেও বাধা দেয় পুলিশ। যার ফলে রীতিমত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে‌। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়েছে। এমনকি সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

বিজেপির দাবি, এই রাজ্যের পুলিশ এতটাই নির্লজ্জ যে, তারা অন্য রাজ্যের মেয়ে এই রাজ্যে এসে নির্যাতিতা হলেন, তারপরেও সামান্য প্রতিবাদটুকু করতে দিচ্ছে না। কারণ তাহলে এই রাজ্যের প্রশাসনের মুখে চুনকালি পড়ে যাবে। যে রাজ্যের পুলিশ মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই রাজ্যের পুলিশ সামান্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনটুকু করার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। আসলে এরা ভয় পেয়েছে। এতদিন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন। কিন্তু এবার গোটা দেশের কাছে ওড়িশার এক পড়ুয়া যেভাবে বাংলায় এসে নির্যাতিত হলেন, সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আশায় বাংলার মুখ পুড়েছে। বাংলার পুলিশ মন্ত্রী তথা মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে গোটা দেশের সমালোচনা হচ্ছে। আর বিজেপি যখন গোটা ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করতে চাইছে, যখন মানুষের কাছে আসল সত্য তুলে ধরতে চাইছে, যখন মা-বোনেদের নিরাপত্তার দাবি করছে, তখন এখানকার দলদাস পুলিশ বিজেপির সেই কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আরও একবার নিজেদের নির্লজ্জ রূপ সামনে নিয়ে চলে এলো বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।