প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আরজিকরের পর ফের এই রাজ্যে ঘটে গিয়েছে আরও এক বীভৎস মর্মান্তিক ঘটনা। যেখানে দুর্গাপুর বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক তরুণী বাইরে খাবার আনতে যাওয়ার সময় তাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। আর সেই ঘটনার পর থেকেই গতকাল শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সমস্ত বিরোধীরা একত্রিত হয়ে ময়দানে নেমেছে। যত সময় যাবে, ততই যে আরজিকরের মত এই প্রতিবাদের আওয়াজ আরও বাড়তে শুরু করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তবে প্রতিবাদ যখন বাড়ছে, তখন চাপে পড়েই এবার তৎপরতা দেখা যাচ্ছে পুলিশের।
বলা বাহুল্য, আরজিকরের পর রাজ্যে ফের যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, সেটা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। কারণ আরজিকরের পর গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হয়েছে। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তীতে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু তারপরেও এই রাজ্যে যে নারী নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, আইনশৃঙ্খলা যে সম্পূর্ণরূপে তলানিতে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুরের এই ঘটনায়। বিরোধীরা একেবারে ময়দানে নেমে আইনশৃঙ্খলা ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে কেন বারবার করে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে আওয়াজ। আর তার মধ্যেই এবার দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আজ সকাল থেকেই এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চালানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছিল পুলিশ। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, তাতে আরজিকরের মত পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে, এটা বুঝতে পেরেছে পুলিশ প্রশাসন। তাই সেই কারণেই আগেভাগেই গ্রেফতারের বিষয়টিকে সামনে এনে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা যে সঠিক পথেই চলছে, তার প্রমাণ দিতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।