প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে নারী নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। যেখানে দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সন্ধ্যায় সেই তরুণী চিকিৎসক খাবার আনতে বাইরে যান। আর সেই সময় তার পথ আটকায় ২-৩ জন যুবক। পরবর্তীতে তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে কেন বারবার এইরকম ঘটনা ঘটছে, আরজিকরের পর কেন আবার এত ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার গোটা ঘটনায় এই রাজ্যের চাপ বাড়িয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে ওড়িশা পুলিশ।
ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। মেডিকেল কলেজের বাইরে কি করে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো, কেন প্রশাসন মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, এই রাজ্যের বুকে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কিন্তু ভিন রাজ্যের কাছেও বাংলাকে ক্রমশ লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে। কেননা যে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই তরুণী চিকিৎসক ওড়িশার বাসিন্দা। তাই এবার গোটা ঘটনার তদন্ত করতে রাজ্যে আসতে চলেছে ওড়িশা পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরে ওড়িশা পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল আসতে চলেছে। মূলত, তাদের রাজ্যের যেহেতু বাসিন্দা এই নির্যাতিতা, সেই কারণেই গোটা ঘটনার তদন্ত করতে ওড়িশার পক্ষ থেকে এই টিম আসতে চলেছে বলেই খবর। স্বাভাবিক ভাবেই এই রাজ্যের বুকে যেভাবে অন্য রাজ্যের থেকে পড়তে আসা একজন তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে এত বড় মাপের ঘটনা ঘটে গেল, তারপর রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে। আর তার মধ্যেই ওড়িশা পুলিশের একটি টিম রাজ্যে তদন্ত করতে আসার কারণে এই রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আরও বেশি করে প্রশ্ন উঠবে।পাশাপাশি গোটা ঘটনায় ক্রমশ চাপ বাড়বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।