প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট–
এই রাজ্যে প্রথম দিকে এসআইআর হতে দেবেন না বলে অনেক কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসআইআর চলছে রাজ্যে। আর বর্তমানে তৃণমূলের অস্বস্তি এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তারা যেভাবেই হোক, এসআইআরকে বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে অনেক জায়গাতেই তৃণমূল বিএলওদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে যাতে ভুল তথ্য রাখা যায় এবং অবৈধ ভোটারদের রাখা যায়, তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। তবে এই সমস্ত করেও যে তৃণমূল শেষ রক্ষা করতে পারবে না। এমনকি এসআইআরের পর যে তালিকা বেরোবে, তা দেখলে যে অনেকেই চমকে উঠবেন, সেই ব্যাপারে এতদিন নানামহলে চর্চা হয়েছিল। আর এবার রাখঢাক না করেই যেভাবে বাংলায় ভোটার তালিকায় দুধে জল মেশানো হয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
ইতিমধ্যেই এসআইআরকে কেন্দ্র করে প্রতিমুহূর্তে উত্তাপ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এত কম সময়ের মধ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া করা সম্ভব নয়, বিজেপি ঘুর পথে বাংলার ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত করছে। তবে বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূল এসআইআরে এত ভয় পাচ্ছে, তার একটাই কারণ, কারণ, প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম রয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪১ লক্ষের কাছাকাছি নাম বাদ গিয়েছে। ভবিষ্যতে চূড়ান্ত তালিকা বেরোনোর পর তা প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। আর সেই কারণেই অবৈধ ভোটারদের নাম রাখতে তৃণমূল এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে জন্যই তাদের এই রকম ছটফটানি বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির। আর এসবের মধ্যেই আরও বড় মন্তব্য করে যেভাবে ভোটার তালিকায় দুধ এবং জল এক করে দেওয়া হয়েছে এবং যেভাবে ভুয়ো ভোটার, বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের রেখে দেওয়া হয়েছে, তাতে এই তথ্য প্রকাশ হলে যে অনেকেই চমকে উঠবেন, সেই ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “দেখুন, ১২ টি রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। বিহারে এসআইআরের পর নির্বাচন হয়ে গেল। কোথাও কোনো হট্টগোল নেই। কারণ কি? কারন, মুখ্যমন্ত্রী দুধে এতটাই জল মিশিয়েছেন, যে, দুধে জল নয়, জলে দুধ হয়ে গিয়েছে। মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটার, বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গা ভরা পশ্চিমবঙ্গে। এখন তো কলির সন্ধ্যে। সময় হতে দিন, ড্রাফট লিস্ট বের হোক। তারপরে বুঝতে পারবেন, পশ্চিমবঙ্গের আসল পরিস্থিতি কি।”