প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রত্যেকদিন কোনো না কোনো তথ্য ফাঁস করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, এই রাজ্যের শাসক দলের সর্বত্র দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। চাকরি চুরি থেকে শুরু করে বালি, কয়লা, প্রকৃতির মাকেও এরা ছাড়ছে না বলে বিভিন্ন সভা থেকে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করে দিয়েও তিনি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেন। আর আজ সেই বালি পাচার নিয়ে বিএলআরও থেকে শুরু করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে প্রতিনিয়ত শাসকের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রতিনিয়ত তথ্য দিয়ে তৃণমূলের হাটে হাড়ি ভেঙে দিচ্ছেন। যা শাসকের পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তিকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এসবের মধ্যেই এবার বালি পাচার নিয়ে বহরমপুরের সভা থেকে এমন এক তথ্য ফাঁস করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, যাতে তৃণমূলের কেলেঙ্কারির আরও এক পর্দা ফাঁস হয়ে গেল বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। কিন্তু কি সেই তথ্য?

এদিন বহরমপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে পরিবর্তন সংকল্প সভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সভা থেকেই বালি পাচার নিয়ে তৃণমূল এবং প্রশাসনকে কটাক্ষ করেন তিনি। যেভাবে নদীগুলোর সর্বনাশ করে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে সোচ্চার হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুবাবু বলেন, “নদীগুলো কে দিয়েছে? প্রকৃতি মা দিয়েছে। এই নদীগুলোর কোনো অস্তিত্ব আছে? বালি লুট চলছে। আগে ২০২০ সাল পর্যন্ত এখানে যতগুলো টোল গেট ছিল, এখানে বিএলআরও সৌভিক সাহা, আর এখানকার ব্লক সভাপতি, ওর নাম আমি মুখে আনব না। ওই ব্যাটাকে আমি ভালো চিনি। ও একেবারে পাতি জিনিস। ওকে আমি কাউন্ট করছি না। কিন্তু ব্লক সভাপতি, পুলিশ, বিএলআরও মিলে বালি লুট চলছে। সরকারের ঘরে রাজস্ব যায় না। কোনো নদীর অস্তিত্ব আছে?” অর্থাৎ বালি পাচারের ক্ষেত্রেও তৃণমূলের সঙ্গে পুলিশ এবং প্রশাসনের একটা অংশ মিলে যে বড় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, এবার সেই তথ্য দিয়ে শাসক দলকে রীতিমত লজ্জায় ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।