প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল যে এসআইআরের আতঙ্কে রীতিমতো ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এসআইআর চালু হওয়ার আগে থেকেই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা, নেত্রীরা হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি নেতাদের গাছে বেঁধে রাখা হবে বলেও মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল অনেক তৃণমূল নেতাদের। আর এসআইআর শুরু হওয়ার পর এখন সব থেকে বেশি গুরু দায়িত্ব রয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের। তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে কমিশনের পক্ষ থেকে। আর এবার কি তৃণমূলের সফট টার্গেট সেই বুথ লেভেল অফিসাররা? যেভাবে এবার সেই সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের হুমকি দিয়ে বসলেন তৃণমূল বিধায়ক, তাতে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যজুড়ে এসআইআরের একটা আতঙ্ক তৃণমূলের অন্দর মহলে গ্রাস করতে শুরু করেছে। রাজ্যের শাসক দল রীতিমত চিন্তায় পড়ে গিয়েছে, এসআইআর হলে তাদের সাধের ভোটব্যাংক ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আর সেই কারণেই এখন থেকে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল ময়দানে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এতদিন তারা বিজেপি নেতাদের বা নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করতো, কিন্তু এবার যাদের মাধ্যম দিয়ে এই এসআইআর প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, সেই বিএলওদের হুমকি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা।
এদিন বাসন্তীতে তৃণমূলের একটি কর্মী সভা থেকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মন্ডল। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা, তাদের সবার খবর আমরা দেব। যদি ভুলভাল হয়, আমাদের লোকাল নেতৃত্ব, বুথ স্তর থেকে অঞ্চল স্তর এবং ব্লক এবং সারা জেলাতেও হবে। আমরা কিন্তু তাদের গাছের গায়ে বেঁধে রাখব। বেঁধে রেখে আমরা প্রতিবাদ করব। আগে তাদের পরিচয়, তারপর আমাদের পরিচয়। কলিজা দেব, প্রাণ দেব, তবু বিজেপির কাছে আমরা কিছুতেই আমাদের নাগরিকত্ব বিসর্জন দেবো না। এই বাংলায় হিন্দু-মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান একজনেরও নাম বাদ গেলে পশ্চিমবঙ্গে রক্ত গঙ্গা বইবে।”