প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি রাজ্যপাল এবং রাজভবনের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজভবনে বিস্ফোরক মজুত আছে বলে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন রাজ্যপাল। এমনকি রাজভবনে বম্ব স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশিও চালাতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। আর তারপরেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআর করেন রাজ্যের সাগবিধানিক প্রধান। আর এই ঘটনার পরেই আজ সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালকে বেলাগাম আক্রমণ করতেও দেখা গিয়েছে এই তৃণমূল সাংসদকে। যাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

গতকালই একটি খবর সামনে আসে যে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যেখানে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। আর তারপরেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনিও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আর সেই মতই আজ কার্যত সংঘাতকে বাড়িয়ে দিয়ে সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন এই তৃণমূল সাংসদ। তবে শুধু অভিযোগ দায়ের করেই থেমে থাকেননি কল্যাণবাবু। নিজের অবস্থানে অনড় থেকে রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। যা একজন সাংবিধানিক প্রধানকে করা যায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

এদিন সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। যেখানে কল্যাণবাবুকে এই কথাও বলতে শোনা যায় যে, রাজ্যপাল অমিত শাহের পা ধরে নাকি রাজ্যপাল হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবিধানিক প্রধানকে এইভাবে একজন জনপ্রতিনিধি যে ভাষায় আক্রমণ করলেন, তা কতটা রুচিসম্মত, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। পাশাপাশি অতীতে কখনও এইভাবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনো জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কিনা বা সংঘাত এত চরমে উঠেছে কিনা, তা কেউ মনে করতে পারছেন না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।