প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক অশনি সংকেত দেখা দিতে শুরু করেছে। উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরেও উচ্চশিক্ষায় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। আর তার মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফলের দিকে শিক্ষার্থীরা তাকিয়ে থাকলেও, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যাপারে রাজ্যকে আক্রমণ করে একাধিক তথ্য তুলে ধরেছেন। আর তার মধ্যেই এবার রাজ্যের মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেওয়া হলো। স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা পরিশ্রম করে পড়াশোনা করেছেন, পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের যদি মাঝেমধ্যেই এভাবে জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়, তাহলে তাদের উচ্চশিক্ষা কিভাবে হবে, কিভাবে তারা সাফল্য পাবেন, তা নিয়ে রাজ্যের নির্দেশিকার পরেই বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

কি ঘটনা ঘটেছে? একদিকে যখন উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের পরেও ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে, তখন এমনিতেই ছাত্র-ছাত্রীরা দিশেহারা। একইভাবে জয়েন্টের ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করছেন যে, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণের রাজনীতি করে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য। আর তার মধ্যেই এবার এমবিবিএস এবং বিডিএসের ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হলো। আর সেই ঘটনার পরেই ডিএসওর পক্ষ থেকে শুরু হলো প্রতিবাদ।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তবে হঠাৎ করেই রাজ্যের পক্ষ থেকে এমবিবিএস এবং বিডিএসের ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক জটিলতার মধ্যে পড়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে। আর তারপরেই প্রতিবাদ জানিয়ে কেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে এইভাবে ছিনিমিনি খেলছে রাজ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ডিএসও। ইতিমধ্যেই ডিএসওর পক্ষ থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক শিক্ষা জগতের ক্ষেত্রে এই অশনি সংকেত নেমে আসায় রীতিমত শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে বিরোধী ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকরা। তবে হঠাৎ করেই কেন মেডিকেলে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেল, এর পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, তার প্রত্যুত্তরে রাজ্যের পক্ষ থেকে কি যুক্তি খাঁড়া করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলে।