প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এসএসসি পক্ষ থেকে ১৮০৪ জনের অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বা বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই তালিকা অসম্পূর্ণ। এতে আরও অনেকের নাম থাকতে পারে। তবে এসবের মধ্যেই যাদের সেই অযোগ্যের তালিকায় নাম রয়েছে, যারা দাগি অযোগ্য বলে চিহ্নিত হয়েছেন, এবার তাদেরই একটা অংশ নিজেদের চাকরি বাঁচানোর যুক্তি নিয়ে পৌঁছে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। যেখানে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আবেদন জানালেন তারা। আর তা শুনেই বড় মন্তব্য করলেন বিচারপতি।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৮০৪ জনের দাগি অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। যা নিয়ে রীতিমত তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যোগ্য ব্যক্তিরা দাবি করছেন, এবার তাদের চাকরি ফেরতের ব্যবস্থা করা হোক এবং তারা কোনোমতেই পরীক্ষা দেবেন না। তবে যারা দাগি অযোগ্য বলে চিহ্নিত হয়েছেন, তাদের একটা অংশ আবার এই তালিকা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, তারা যেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। আর সেই রকমই দাবি নিয়ে ৩৫০ জন দাগি অযোগ্য প্রার্থী এবার কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। যেখানে তাদের বক্তব্য শোনার পর মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, এদিন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য এসএসসির যে দাগি অযোগ্য, তার মধ্যে ৩৫০ জন কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। যেখানে তারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আর তাদের সেই বিষয়টি শুনেই বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বলেন, “মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলায় আমি কিভাবে হস্তক্ষেপ করব? আপনারা সুপ্রিম কোর্টে যান।” তবে যারা দাগি অযোগ্য, যে ৩৫০ জন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছেন, তাদের আইনজীবী যাতে তাদের বক্তব্য অন্তত শোনা হয়, তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। আর তারপরেই বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। স্বাভাবিকভাবেই দাগী অযোগ্যদের পক্ষ থেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য যে আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়া হলো, তার পরিপ্রেক্ষিতে কি যুক্তি তারা আদালতের কাছে দেন এবং শেষ পর্যন্ত কি বলে আদালত, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।