প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা যে এসআইআরের আতঙ্কে রীতিমত ভয় পেয়ে রয়েছে, তা তাদের একের পর এক মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তা শুরু হতে না হতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেন হুমকি আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এবার সিইও দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠকের পরেই নির্বাচন কমিশনকে বেনজির আক্রমণ করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম। যদি একটাও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে পা ভেঙে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই একজন মন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে এটাও বলছেন যে, এরপরেও কি চুপচাপ বসে থাকবে নির্বাচন কমিশন? কেন কমিশনকে এই ধরনের আক্রমণ করার পরে ববি হাকিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
প্রসঙ্গত, এতদিন এসআইআর না হলেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, এই আতঙ্কে রীতিমত একের পর এক হুমকি, হুঁশিয়ারি এসেছে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাদের পক্ষ থেকে। আর এসআইআর চালু হওয়ার পর সেই হুমকি যেন আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এবার সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিলে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। অন্যদিকে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একটা অবৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করার পাশাপাশি পা ভেঙে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম। আর এখানেই সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা।
বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বারবার করে নির্বাচন কমিশন তো স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছে যে, একজন বৈধ ভোটারেরও নাম বাদ যাবে না। সেক্ষেত্রে তারা পুরোপুরি দায়িত্ব নেবে। কিন্তু তারপরেও কেন এত হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের? আসলে তারা জানে, তারা যাকে বৈধ বলছে, তারা অবৈধ। অনুপ্রবেশকারী, বাংলাদেশীরা তৃণমূলের আসল ভোটব্যাংক। তাই তাদের নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কেই তৃণমূল এখন তাদের বৈধ বলে চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনোমতেই এই সমস্ত হুমকি দিয়ে সেই সমস্ত অবৈধ ভোটারদের ভোটার লিস্টে রাখতে পারবে না রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। নির্বাচন কমিশনকে তারা যেভাবে আক্রমণ করছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্যের একজন মন্ত্রী হয়ে ববি হাকিম যেভাবে পা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন, তারপরেও কেন মুখ বুজে থাকবে নির্বাচন কমিশন? কেন রাজ্যের এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে না? যদি তিনি এই সমস্ত কথা বলে ছাড় পেয়ে যান, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে কি বার্তা পৌঁছবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।