প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর হওয়ার আগে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক কথা বলেছিলেন। এমনকি তার দলের নেতা-নেত্রীরাও বলেছিলেন যে, এসআইআর কোনোমতেই পশ্চিমবঙ্গে হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু তারপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বুকে চালু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। তবে এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটা প্রচার করা হচ্ছে যে, এফআইআর এর চাপে নাকি সাধারন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এমনকি বিএলওরাও নাকি কাজের চাপে প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে বিরোধীরা এখানেই পাল্টা দাবি করেছে যে, তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর হওয়ার ফলে ভয় পাচ্ছে। তাই তাকে বন্ধ করার জন্য তাদের এই সমস্ত বক্তব্য। আর এসবের মধ্যেই এবার তড়িঘড়ি এসআইআর স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকালই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট সামনে এসেছিল। কিন্তু আজ একেবারে সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এসআইআর স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। যেখানে একের পর এক মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে এসআইআরকে দায়ী করেছেন তিনি। আর তারপরেই এই পরিস্থিতির জন্য এসআইআর স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু চিঠিতে ঠিক কি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
জানা গিয়েছে, এদিন জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব নয়। ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকবে। সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হবেন।” শুধু তাই নয় এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের সিইও দপ্তর এই পরিস্থিতিতে বিএলওদের সহযোগিতা না করে তাদের ভয় দেখাচ্ছে। এমনকি তাদের শোকজ পর্যন্ত করা হচ্ছে। তবে বিরোধীরা বলছেন যে, বিএলওদের থেকেও সব থেকে বেশি ভয় পেয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এসআইআর প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়েছে, যখন একের পর এক অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাচ্ছে, তখন সেই খবর তার কাছে পৌঁছে যেতেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যে কারণে এখন এসআইআর বন্ধ করার দাবি জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তার এই চিঠি। কিন্তু এসব করে তিনি এসআইআরকে আটকাতে পারবেন না বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।