প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন যেভাবে বাংলায় স্বচ্ছতা অবলম্বন করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তাতে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তিনি বুঝতে পারছেন যে, এসআইআর হলে পশ্চিমবঙ্গে তার দল আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তাই এখন কি হুমকি, হুশিয়ারের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যাচ্ছে তাকে? গতকাল দলীয় মঞ্চ থেকে বিজেপির ক্রীতদাস বলে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন তিনি। আর আজ একেবারে সরকারি মঞ্চ থেকে আদিবাসী দিবস উদযাপনে নির্বাচন কমিশন বাংলার দুজন অফিসারের বিরুদ্ধে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিতেই রীতিমত সোচ্চার হলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। যার ফলে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় কারচুপির কারণে বারুইপুর পূর্ব এবং ময়নার চারজন অফিসারকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আরও একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সহ এই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে গতকালই দলীয় মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কারওর বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। আর আজ আদিবাসী দিবস উদযাপনে সরকারি মঞ্চ থেকে আরও একবার নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন তিনি।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুজন WBCS অফিসার, ওনারা সাসপেন্ড করে দিলেন! নির্বাচনই ঘোষনা হয়নি। কি সাহস! কোন রুলে এটা করেছেন? বাবাসাহেব আম্বেদকর এই সংবিধান তৈরি করেননি। আমরা ছোটবেলা থেকে জানি, যেদিন নোটিফিকেশন জারি হয় নির্বাচনের, সেদিন থেকে নির্বাচন কমিশন অ্যাকশন নিতে পারে। আমরাও দেখে দেখে তাদের অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দিই। কি ভেবেছেন? এখন থেকে এনআরসির নাম করে পেছনের দরজা দিয়ে আপনারা সরকারি অফিসারদের ভয় দেখাবেন? সরকারি অফিসারদের পাশে সরকার ছিল, আছে এবং থাকবে।”

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়েই পাল্টা সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, আইনের ঊর্ধ্বে নিজেকে ভাবতে শুরু করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বারবার করে সংবিধানকে চ্যালেন জানাচ্ছেন। সরকারি মঞ্চ থেকেও তিনি যেভাবে নির্বাচন কমিশন কে আক্রমণ করেছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ তা না হলে মুখ্যমন্ত্রী বারবার করে আইন ভাঙ্গার এবং সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ জানানোর রাস্তায় হাঁটবেন। তাই অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।