প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিধানসভায় একতান্ত্রিক নিয়ম চলে। বিধানসভার অধ্যক্ষ যত নিয়ম সব বিরোধীদের জন্য তৈরি করেন। কিন্তু শাসক দলের জন্য কোনো নিয়ম থাকে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই একটা অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। বিধানসভার ভেতরে বলার ক্ষেত্রে বিরোধীদের বিন্দুমাত্র সুযোগ দেওয়া হয় না এবং তাদের কণ্ঠরোধ করা হয় বলেও স্পিকারের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সম্প্রতি শুভেন্দুবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আদালতের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ এসেছে। যেখানে কোনো বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা তাদের নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীও যদি প্রবেশ করেন, তাহলে তিনি তারপরেই মামলা করতে কলকাতা হাইকোর্টে চলে যাবেন। আর সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী তার নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন। এই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যেখানে জানানো হয়েছিল যে, বিধানসভার সকল সদস্য অর্থাৎ মন্ত্রী এবং বিধায়করা তাদের নিরাপত্তার রক্ষী নিয়ে যেতে পারবেন না। এমনকি সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বিধানসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, কেউ কোনরূপ নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভেতরে আসতে পারবেন না। আর সেই মতই সবটা চলছিল। তবে সম্প্রতি যে অধিবেশন হয়েছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তার নিরাপত্তাররক্ষী নিয়ে বিধানসভার ভেতরে প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ। আর তাকেই হাতিয়ার করে এবার একেবারে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি সুযোগ পেলে এই স্পিকারকে বুঝিয়ে দেবেন, আইন কাকে বলে। তাই আজকে তিনি একটা মোক্ষম সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। আদালতের যে নির্দেশ, তাকে অমান্য করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বলে অভিযোগ করছেন তিনি। আর তাকেই হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং তাকে অধ্যক্ষ প্রশ্রয় দিয়েছেন। এমনটা বুঝিয়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী একেবারে স্পিকারকে টাইট দিতে তার বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে পৌঁছে গেলেন। এখন হাইকোর্টের শুনানিতে ঠিখ কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।