প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এসএসসি পরীক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে এবং অবৈধভাবে বেশ কিছু মানুষ যে চাকরি পেয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নিজেদের তালিকা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে এসএসসি। যার ফলে বিরোধীরা দাবি করছে যে, রাজ্য এবং এসএসসি স্বীকার করে নিয়েছে যে, এর আগে যে নিয়োগ হয়েছিল, তাতে দুর্নীতি হয়েছে। কেননা ইতিমধ্যেই এসএসসির পক্ষ থেকে আদালতের নির্দেশে ১৮০৬ জনের দাগি অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন যে, এই দাগি অযোগ্যরাও কি আগামীকাল এসএসসির যে পরীক্ষা রয়েছে, সেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন? কেননা সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে দাগি অযোগ্যদের জন্য রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের হাইকোর্টে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই অবৈধভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন, তারা কি আবার এসএসসির পরীক্ষায় বসবেন! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। আর আজ সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রশ্নেরই কৌশলী উত্তর দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
বলা বাহুল্য, রাত পোহালেই এসএসসি নবম দশমীর পরীক্ষা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যারা যোগ্য, তাদের আবার পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে, তা নিয়ে তারা এমনিতেই হতাশায় ভুগছেন। তবে অযোগ্যের যে তালিকায় এসএসসির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল, সেই দাগিরা কি করবেন? তারাও কি আবার পরীক্ষায় বসবেন! এই প্রশ্ন যোগ্য থেকে শুরু করে অনেকের মধ্যেই রয়েছে। আর কৌতুহলী সেই প্রশ্নই এদিন এসএসসি চেয়ারম্যানকে করা হয়েছিল। যার সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি অন্যরকম এক উত্তর দিয়ে বসলেন।
এদিন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “এই আলোচনাটা আমরা ১৪ তারিখের পরে করব। এটা এখানে কোনো ভাবেই জানানোর দরকার নেই। আমাদের ওয়েবসাইটে যা রয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই সবটা আছে। তা মেনেই তারা আসবেন, বসবেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ব্যাপারে আমরা আজকে আলোচনা করব না।”
আর চেয়ারম্যান যখন আজ এই বিষয়টি আলোচনা না করার কথা বলছেন, তখন এসএসসির পরীক্ষায় যারা বসবেন, তারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন, ১৪ তারিখ তো পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে। তারপর এই বিষয়টি প্রকাশ করা হবে কেন? তাহলে কি সেই অযোগ্যদেরও সুযোগ করে দেওয়া হবে এবারের পরীক্ষায়? কেন চেয়ারম্যান সততার সহকারে সেই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করলেন না! কেন কৌশলী উত্তর দিয়ে গোটা বিষয়টিকে স্পষ্ট না করেই তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন! তাহলে কি সর্ষের মধ্যে আবার ভূত তৈরি করার কৌশল হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।