প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক নেতা নেত্রীরা বিজেপির উদ্দেশ্যে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়েই চলেছেন। কোথাও কোথাও বিজেপি নেতাকর্মীদের ওপর চলছে হামলা। তবে বিজেপি যদি পাল্টা প্রতিরোধের না রাস্তা বেছে নেয়, তাহলে কোনোমতেই ২৬ এর নির্বাচনে তারা আশানুরূপ ফল করতে পারবে না। এমনটাই দাবি করছেন কর্মীরা। তবে তৃণমূল যে ভাষায় জবাব দিচ্ছে, সেই ভাষাতেই তাদের জবাব দিতে হবে বলে বিভিন্ন সভা সমিতি থেকে তৃণমূলের দেখানো পথেই তাদের পাল্টা জবাব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। গতকাল কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে আক্রমণ করে শ্রীরামপুরে আসার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। আর আজ সেই শ্রীরামপুরে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে ঝাণ্ডা এবং ডান্ডা দুটোই যে প্রয়োজন, সেই বার্তা দিয়ে ভোট গিয়ার তুললেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
বলা বাহুল্য, গোটা রাজ্যজুড়েই এসআইআরের বিরোধিতা করতে গিয়ে তৃণমূলের একের পর এক নেতা নেত্রীরা বিজেপির বিরুদ্ধে হুমকি, হুশিয়ারি দিচ্ছেন। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে বিজেপির যারা নীচু তলার কর্মী, তারা বলছেন যে, আর কতদিন মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করা হবে? তৃণমূল যে ভাষায় জবাব দিচ্ছে, তাদের ঠিক সেই ভাষাতেই উত্তর দিতে হবে। আর এবার শ্রীরামপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে যে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন, সেই মাটি থেকেই তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। বিজেপি কর্মীদের বার্তা দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে ঝান্ডার পাশাপাশি ডান্ডারও যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় বেছে নিচ্ছে, তাতে তাদের মোকাবিলা করতে গেলে যে আত্মরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে, বিজেপি কর্মীদের সেই বার্তাই দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিন শ্রীরামপুরের সভা থেকে বিজেপি কর্মীদের ভোটের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আমরা জানি, কুকুর মুগুরের ভক্ত। তাই আমরা আমাদের কর্মীদেরকে বলেছিলাম যে, রামচরিত মানসে একটি কথা আছে, ভয় ছাড়া কোনোদিনও প্রেম হয় না। তাই আমাদের কর্মীরা আজকে ঝান্ডাও এনেছে, তার সাথে ডান্ডাও এনেছে। তাই এখন থেকেই ভোট গিয়ার দিয়ে গেলাম। এই ঝান্ডা এবং ডান্ডার বাণী তৃণমূলকে শোনাতে হবে। সেই সময় চলে এসেছে।”