প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ কতটা তৃণমূলের দলদাসের মতো আচরণ করে, কিভাবে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি নেতাদের প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে তারা ফলো করে, কিভাবে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ছবি তোলার জন্য এই পুলিশকে রাখা হয়, তা আজ আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। আদালতের অনুমতি নিয়ে আজ প্রাক্তন সেনাকর্মীরা মেয়র রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে যে মন্তব্য, তার প্রতিবাদে ধর্না কর্মসূচি করেছিলেন। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, বিজেপির অফিস বেয়ারার কেউ যেন সেখানে না থাকে। আর শুভেন্দু অধিকারী সেই মঞ্চে পৌঁছে যেতেই এবং তিনি বক্তব্য রাখতে শুরু করতেই দেখতে পেলেন যে, এক পুলিশকর্মী তিনি ছবি তুলতে শুরু করেছেন। আর একেবারে বক্তব্যের মাঝেই সেই পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মোক্ষম জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বুঝিয়ে দিলেন, তার এই তোলা ছবিতে তিনি ভয় পান না।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের যে প্রতিবাদ কর্মসূচি, সেখানে পৌঁছে যান। বক্তব্য রাখার সময় তিনি হঠাৎ করেই লক্ষ্য করেন যে, সাদা পোশাকের এক পুলিশ কর্মী তার ছবি তুলছেন। বক্তব্যের মাঝেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই যে বড় ভুঁড়ি, সাদা ইউনিফর্ম। ভালো করে তুলুন। আমি অফিস বেয়ারার নই। আমি বিরোধী দলনেতা। আপনি ভালো করে তুলুন। আপনার খালা মমতা আছে, বাগডোগরায় আগে পাঠিয়ে দিন ওর কাছে।”

আর শুভেন্দু অধিকারী যখন এই কথা বলছেন, তখন উপস্থিত সকলেই হাততালি দিতে শুরু করলেন। মুহুর্তের মধ্যেই সেই পুলিশকর্মী নিজের মোবাইল নামিয়ে মোবাইলের দিকে চোখ রেখে অন্য কিছু করার চেষ্টা করতে শুরু করলেন। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী ধরে ফেলার সাথে সাথে এবং প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এইভাবে পুলিশকর্মীকে বলার সাথে সাথেই তিনিও যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়ে গেলেন। আসলে সেই পুলিশকর্মীও হয়ত ভাবতে পারেননি যে, তাকে এইভাবে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তো চোখে চোখ রেখে লড়াই করেন। তাই আজ আদালতের অনুমতি নিয়ে কি করে আদালতের নির্দেশ রক্ষা করতে হয়, তা তিনি খুব ভালো মতোই জানেন। তাই পুলিশকর্মী ছবি তোলার কাজ শুরু করতেই তাকে পাল্টা জবাব দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আইন ভাঙ্গার লোক নন।