প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্য সরকার উন্নয়নের কোনো কাজ করে না। তারা শুধুমাত্র ভাতা, ভর্তুকি এবং একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষন করে নিজেদের ভোটব্যাংক মজবুত রাখার চেষ্টা করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কাজ করেই প্রত্যেক বছর নির্বাচনে জিতে যায় তৃণমূল সরকার। তবে ২৬ এ হিন্দুদের একত্রিত হয়ে এই তৃণমূলকে বিদায় দিতে হবে বলেই আহ্বান জানাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন সভা সমিতিতে তিনি এর আগেও বলেছেন যে, ভাতা, ভর্তুকি এবং দোকান খুলে রাজ্যকে সর্বনাশের মুখে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। আর আজ গঙ্গা ভাঙন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই রাজ্য সরকারের তিনটে কাজ বলে প্রকাশ্যেই বড় মন্তব্য করলেন তিনি।
এদিন মুর্শিদাবাদে বেশ কিছু দুর্গাপুজোর সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি রাজ্য সরকারের কি কি কাজ রয়েছে, তা নিয়ে বড় মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য, রাজ্যের মানুষের সর্বনাশ করে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। এক্ষেত্রে মদের দোকান খুলে, ভাতা ভর্তুকি দিয়ে এবং তোষণ করে তারা ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এই তিনটে কাজ ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই বলেই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।
বিজেপির দাবি, সঠিক কথাই বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্যকে একদম শেষ করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বেকার যুবকদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। তাই ভোটের আগে কিছু ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে সমাজের সর্বস্তরের ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে হিন্দু সনাতনীদের সংস্কৃতিকে প্রতিমুহূর্তে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। তাই বাংলার শিক্ষিত সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে বাঁচতে হলে অবিলম্বে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।