প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ভেবেছেন যে, তারা যাকে খুশি হুঁশিয়ারি দেবেন, আর তারা ভয়ে বাড়িতে ঢুকে যাবেন। কিন্তু সেই দিন যে আর নেই, তৃণমূলের নেতাদের হুমকি হুঁশিয়ারিতে যে আর কেউ ভয় পায় না, তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গতকাল সুকান্ত মজুমদারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষমতা থাকলে শ্রীরামপুরে আসুন বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই সুকান্তবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শ্রীরামপুরে যাবেন। অবশেষে আজ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্র শ্রীরামপুরে পৌঁছে বাইক মিছিল করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, গতকালই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশ্যে বেলাগাম মন্তব্য করেন। রীতিমতো তুই-তুকারি করে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। শুধু তাই নয়, ক্ষমতা থাকলে শ্রীরামপুরে আসুন, উড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন কল্যাণবাবু। আর তারপরেই সুকান্ত বাবু জানিয়ে দেন যে, তিনি আগামীকালই শ্রীরামপুরে যাচ্ছেন। অবশেষে নিজের কথা রেখে একেবারে বাপের ব্যাটার মত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্রে দাপিয়ে বেড়ালেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতারা ভেবে নিয়েছেন যে, যাকে খুশি, যা খুশি বলা যায়। রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল, তাই তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েও পার পেয়ে যাবে। কিন্তু তৃণমূল যেমন হুমকি দিচ্ছে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের সেই হুমকির প্রতিরোধ করতে হবে বিরোধীদের। এমনটাই এতদিন বিজেপি কর্মীরা চাইছিলেন। আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সুকান্ত মজুমদারকে যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, আজ সুকান্তবাবু সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্রে গিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি এই সমস্ত তৃণমূলের চুনোপুঁটি নেতাদের বক্তব্যকে মোটেই গুরুত্ব দেন না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।