প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে আইনের শাসন নেই, এই রাজ্যে যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে, তা কিছুদিন আগেই একটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেখানে নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে রীতিমত হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধিকে। হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন খগেন মুর্মু। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তবে যারা সেদিন হামলা করেছিল, তারা হয়ত ভাবতে শুরু করেছিল যে, আর হয়ত বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় আসবেন না, কারণ তারা তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে, সেই কারণে তারা ভয় পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু যদি হামলাকারীরা বা বিজেপির দাবি অনুযায়ী সেই সমস্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভেবে নেয় যে, যারা সেদিন হামলার মুখে পেরিয়েছিলেন, তারা ভয় পেয়ে গিয়েছেন, তাহলে তাদের ভাবনা ভুল। কেননা আজ যেখানে হামলা হয়েছিল, যেখানে ত্রান দিতে গিয়ে তারা বাধা প্রাপ্ত হয়েছিলেন, সেখানেই একেবারে বাপের ব্যাটার মত পৌঁছে গেলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আর তারপর এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য সামনে আসে। যেখানে তাদের ওপর হামলা করা হয়। পরবর্তীতে দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এখনও খগেনবাবু হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও শঙ্কর ঘোষকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কাঁধে এবং হাতে এখনও কিছুটা ব্যথা রয়েছে তার। তবে যে সমস্ত দুর্বৃত্তরা সেদিন তাদের ওপর বিধ্বংসী হামলা করেছিলেন, এবার তাদেরকে বার্তা দিয়েই যেখানে হামলা হয়েছিল, সেখানেই আবার ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে গেলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক।
এদিন নাগরাকাটা এলাকায় পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যেখানে ত্রাণ বিলি করতে দেখা যায় তাকে। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতাকর্মীরাও। শংকরবাবু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি যদি এরপর এলাকায় না আসতেন, তাহলে দুর্বৃত্তরা সাহস পেয়ে যেত। আর আজকে তিনি এলাকায় এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর যারা সেদিন হামলা করেছিল, তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি বিধায়ক যেভাবে আক্রান্ত হওয়ার পরেও সেই একই জায়গায় এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রান বিলি করলেন, তাতে যারা সেদিন হামলা করেছিল, তারা যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল। পাশাপাশি এভাবেই যে হামলাকারীদের বিধ্বংসী রাজনীতিকে গোটা রাজ্যজুড়েই প্রতিহত করতে হবে, নিজের এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে সেই কথাও বুঝিয়ে দিলেন হেভিওয়েট এই বিজেপি বিধায়ক।
