প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগেও বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যে তার নাম জড়িয়েছে। সম্প্রতি মতুয়া এবং নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের ভোট না পাওয়ায় প্রকাশ্য সভা থেকে মহুয়া মৈত্র যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ করার পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, যেভাবে মতুয়া সম্প্রদায়কে এবং তাদের গলায় আচার মালাকে মহুয়া মৈত্র অপমান করেছেন, তার বিরুদ্ধে তিনি কৃষ্ণনগরে সভা করবেন। সেই মত আজ কৃষ্ণনগরে প্রতিবাদ সভা থেকে সেই মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন কৃষ্ণনগরে প্রথমে একটি পদযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই একটি সভা থেকে মহুয়া মৈত্র সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছেন, যেভাবে হিন্দু সম্প্রদায় এবং মতুয়া ও নমঃশূদ্রদের ভাবা বেগে আঘাত করেছেন, তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। মহুয়া মৈত্রের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এখানকার সাংসদ, কত বড় সাহস! একবার নয়, বারবার হিন্দুদের অপমান করেন। প্রতিবাদ হয় না কেন? তিন বছর আগে এখানকার সাংসদ বলেছিলেন, টিকি যারা রাখে, তারা শয়তান। টকশোতে বলেনি, মা কালী মদ খায়, মা কালী সিগারেট খায়! তারাপীঠের মা কালী মদ খায়। বলেনি? আর এবার বললেন, কাঠের মালা পড়ে এসে আমাদের কাছ থেকে লক্ষীর ভান্ডার নেন, আর বিজেপিকে ভোট দেন। আরে এটা কাঠের মালা নয়। এটা আচার মালা। আর লক্ষীর ভান্ডার কি মমতা ব্যানার্জির পৈতৃক সম্পত্তি বেচে দেয়? নাকি মহুয়া মৈত্র বিদেশ থেকে টাকা নিয়ে এসে বিতরণ করে?”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহুয়া মৈত্রের একের পর এক মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এদিষ কৃষ্ণনগরেই তার ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি একের পর এক মহুয়া মৈত্র সাম্প্রতিককালে যেভাবে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, তাকে কটাক্ষ করে বুঝিয়ে দিলেন যে, তৃণমূলের এই সাংসদ কতটা হিন্দুদের অপমান করেন! আর সেই কথা বলে শুভেন্দু অধিকারী কৃষ্ণনগরের যারা হিন্দু সম্প্রদায় মানুষরা রয়েছেন, তাদের আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ করার কৌশল বেছে নিলেন। যার ফলে ২৬ এর ভোটের আগে মহুয়া মৈত্র এবং তৃণমূল কংগ্রেস কৃষ্ণনগরে অত্যন্ত চাপে পড়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।