প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছেন। তিনি একটা স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নিয়েছেন যে, হিন্দুদের সঙ্ঘবদ্ধ করতে হবে। আর হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করে এই রাজ্যের শাসক দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। আর সেই ফর্মুলাতেই বিভিন্ন জায়গায় সভা সমিতিতে হিন্দুদের হয়ে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। আজ কৃষ্ণনগরে একটি প্রতিবাদ সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সভা থেকেই তিনি যে কথা বলে দিলেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আগামী দিনে ২৬ এর নির্বাচনের তৃণমূলের ক্ষমতায় আসা অত্যন্ত চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই তিনি হিন্দুদের হয়ে আওয়াজ তুলছেন। মালদহ থেকে শুরু করে মোথাবাড়ি, মুর্শিদাবাদ এমনকি মহেশতলার ঘটনার কথা তুলে ধরে এই রাজ্যে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি করছেন তিনি। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে যেভাবে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রায় দিতে হবে। এমনটাই আহ্বান জানাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কৃষ্ণনগর থেকেও সেই কথা বলার পাশাপাশি তৃণমূলকে একেবারে মহাসঙ্কটের মুখে ফেলে দিলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় উঠে এলো যে, তিনি নিশ্চিত, এই রাজ্যে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু অধ্যুষিত একটি আসনেও ভালো ফলাফল করতে পারবে না শাসক দল।

কৃষ্ণনগরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কোনো লাভ হইব না। একটাও হিন্দু অধ্যুষিত আসন মমতা ব্যানার্জি পাবে না। আপনি তোষণ করতে গিয়ে ৭০ ভাগ হিন্দুদের একত্রিত করে দিয়েছেন। আমরা কখনও অন্য ধর্মকে অসম্মান করি না। স্বামীজি আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন, নিজের ধর্মে আস্থা রাখো, অপর ধর্মকে শ্রদ্ধা করো। কিন্তু আপনি মমতা ব্যানার্জি, তোষণকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছেন। ডেমোগ্রাফি বদলে দিয়েছেন।”