প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি কলকাতায় যে জলমগ্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রায় ১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেই ঘটনায় সকলেই শোকাহত। পুজোর আগে এই ধরনের ঘটনা শহরবাসী কেউই মেনে নিতে পারছেন না। তবে যখন রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভাকে সকলে দায়ী করছেন, তখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তিনি মৃতদের পরিবারকে একটি অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। তবে এই করেই কি সমস্ত দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় রাজ্য প্রশাসনের? শহর কলকাতায় পূজোর আগে এতগুলো সহ নাগরিকের মৃত্যু হলো, তারপর কি করে এত আনন্দে ভেসে থাকতে পারেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? কেন তার মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা থাকবে না? কেন তিনি পুজো উদ্বোধনে গিয়ে হাসি হাসি মুখে লাঠি খেলায় অংশ নেবেন?এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক পূজা উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে। যেখানে হাসি হাসি মুখে পূজা উদ্বোধন করছেন তিনি। এমনকি একটি পুজো মণ্ডপে লাঠি খেলাতেও অংশ নিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মদন মিত্রকে গান করার উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি হাতে হাতে তালি দিতেও দেখা গিয়েছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে এখানেই সকলের প্রশ্ন যে, একদিন আগেই কলকাতায় এত বিভীষিকাময় ঘটনা ঘটে গেল! শুধুমাত্র রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভার অপদার্থ তার জন্য বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল! তারপরেও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি করে এমন হেসে খেলে থাকতে পারেন? কেন তার মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা দেখতে পাচ্ছে না রাজ্যবাসী?
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আপনারা ভাবতে পারেন, ১১ টা লোক মারা গিয়েছে। আর উনি গতকাল লাঠি খেলছেন। যে অনুষ্ঠানই হোক। কিন্তু উনি নাচবেন কেন? এতগুলো সহ নাগরিক মারা গেছে। উনি তো সকলের অভিভাবক। প্রশাসনিক প্রধান। উনি কেন নাচবেন? উনি কেন আনন্দ করবেন? ওনার তো ৭২ ঘন্টা মৌনব্রত পালন করা উচিত ছিল। এমনকি পূজো উদ্বোধনে গেলেও প্রদীপ জ্বালিয়ে চলে আসা উচিত ছিল। নাচ, গান। কোথাও মদন মিত্রের সঙ্গে নাচছে, কোথাও এর সঙ্গে নাচছে।”