প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২১ এ পরিবর্তনের ডাক দিয়েও শেষ পর্যন্ত বিজেপির লক্ষ্য পূরণ হয়নি। তবে এবার একটা সুযোগ রয়েছে বাংলা ও বাঙালির কাছে। তাই বিজেপি হিন্দু ভোটকে একত্রিত করে ২০২৬ এ যাতে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন করা যায়, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে। প্রত্যেকটি সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, বাংলায় পরিবর্তন আনুন, তাহলে বেকারদের চাকরি নিশ্চিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবেই হোক, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। তা না হলে বাংলায় সুশাসন ফিরবে না। তবে বিজেপির যারা নেতাকর্মীরা রয়েছে, তাদের মধ্যেও একটা সংশয় কাজ করছে যে, মিটিং মিছিল সব তো হচ্ছে। কিন্তু দিনের শেষে ভোটটা ঠিকমতো হবে তো? আদৌ হিন্দুরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তৃণমূলের বিপক্ষে ভোট দেবেন তো! নাকি ২০২১ এর পুনরাবৃত্তি আবার ২০২৬ এও দেখা যাবে! যদি এবারেও পরিবর্তন না হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে যে বিজেপিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, সেই ব্যাপারে নেতা থেকে কর্মী সকলেই নিশ্চিত। তাই এবার এসআইআর যখন বাংলায় চালু হয়েছে, ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের লক্ষ্যে সমস্ত হিন্দুদের আরও একবার একত্রিত হওয়ার বার্তা দিয়ে ছুটি না কাটিয়ে অন্তত ভোটটা করার আহ্বান জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের বুকে এবার পরিবর্তনের লক্ষ্যে শেষ চেষ্টা করছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় মিটিং, মিছিল করার পাশাপাশি দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার সব রকম চেষ্টা করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তবে বিজেপির সংগঠন সেই ভাবে শক্তিশালী নয় বলে অনেকেই অনুযোগ করছেন। অনেকে আবার বলছেন যে, এবার যদি বিজেপি ঠিকমত লড়াই করতে না পারে, যদি তারা এবার ক্ষমতায় আসতে না পারে, তাহলে তাদের আর ভবিষ্যতে এই বাংলার মাটিতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর সেই বিষয়টি ভালোমত উপলব্ধি করে রাজ্য বিজেপির নেতারাও কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা দিচ্ছেন যে, এবার অন্তত সিরিয়াসলি নির্বাচনে সকলে অংশগ্রহণ করুন। অন্তত হিন্দুরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাইরে বেরিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই এবার পরিবর্তন নিশ্চিত বলে দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। আর তার মধ্যেই সাধারণের কাছে বড় আহ্বান জানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই বাংলার হিন্দুরা যদি জাগ্রত হয়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভোটটা করুন। ছুটি কাটাবেন না। ছুটির দিন একটু ভালো-মন্দ খেয়ে ছুটি কাটাবেন না। ধুমকে দিয়ে গেছে পাড়ার পেচু, গালকাটা, হাতকাটা দিলীপ, বাড়ি থেকে বেরোবেন না, এটা করবেন না। এটাই শেষ সুযোগ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে হিন্দু ভোট করুন। ৮৫ শতাংশ অন্তত ভোট করুন। দেখবেন, বাংলায় সব ঠিক হয়ে গিয়েছে।”