প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা পাচার, বালি পাচার নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঠিকমত কাজ করছে না। তাদের সঙ্গে হয়ত যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদের একটা সেটিং রয়েছে। যার ফলে তারা মূল মাথাদের ধরতে পারছে না। অনেক সময় বিজেপি নেতাদের পক্ষ থেকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। ডাকাডাকি না করে এবার ভেতরে ঢোকানোর প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত বলে মনে করছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। তবে অনেকেই এই ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যে সেই সমস্ত কিছুকে বরদাস্ত করেন না, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। তাই এক সাংবাদিক কয়লা পাচারকাণ্ডে যারা পাচারকারী রয়েছে, তাদের নাম ফেব্রুয়ারি মাসে সিবিআই জমা দেবে। ফলে এত দেরি হচ্ছে কেন? এই প্রশ্ন করতেই সেই সাংবাদিককে মোক্ষম জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

গতকালই এই রাজ্যের বুকে দেখা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি বহু জায়গায় কয়লা কাণ্ডে তল্লাশি চালিয়েছে। অনেকেই আশাবাদী হয়ে পড়েছেন যে, এবার হয়ত বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হবে। কিন্তু কবে হবে, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। আর তার মধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছে যে, আগামী মাসে কয়লা পাচার কাণ্ডে যারা পাচারকারী, তাদের নাম জমা দেবে সিবিআই। আর সেই ব্যাপারেই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন যে, এত দেরি হচ্ছে কেন? হয়তো সেই সাংবাদিক চেষ্টা করেছিলেন যে এই সমস্ত প্রশ্ন করে শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে ফেলে দেওয়ার। কিন্তু পাল্টা সেই প্রশ্নের উত্তরে উপযুক্ত জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

গতকাল সাংবাদিকরা শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন যে, কয়লা পাচার কাণ্ডে যারা পাচারকারী, তাদের নাম আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জমা দেবে সিবিআই। কিন্তু এত দেরি হচ্ছে কেন? আর সেই প্রশ্ন শোনামাত্রই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কোর্ট বলতে পারবে। সিবিআই বলতে পারবে। আমি কি সিবিআই নাকি? আপনার এত তাড়াহুড়ো কেন? ফেব্রুয়ারি মাস তো এসেই গেল।” অর্থাৎ সেই সাংবাদিক চেষ্টা করেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীকে এই সমস্ত প্রশ্ন করে চাপে ফেলে দেওয়ার। কিন্তু সামনেই যখন ফেব্রুয়ারি মাস, তখন কেন এত দেরি হচ্ছে সিবিআইয়ের? এই সমস্ত প্রশ্ন এক সাংবাদিক শুভেন্দু বাবুকে করলেও, সেই সাংবাদিককেই পাল্টা জবাব দিয়ে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার নিজস্ব পদ্ধতি অনুযায়ী চলে। এক্ষেত্রে সেই সাংবাদিকের এত তাড়াহুড়ো কেন? কোন সময় তদন্তকারী সংস্থা কোন তথ্য পেশ করবে, সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার। তাই এই নিয়ে অন্য কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করলেও যে তার প্রতিক্রিয়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দেবেন না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।