প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রতিনিয়ত যেভাবে আদালতে মুখে ঝামা ঘষা পড়ছে এই রাজ্য সরকারের, তাতে তারা চরম অস্বস্তিতে। তবে গতকাল প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বহাল রাখার যে রায় শুনিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তার ফলে রাজ্য অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু আজ সেই কলকাতা হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের ফলে রীতিমত মাথায় হাত দেওয়ার জোগাড় তৃণমূল সরকারের। যার ফলে মনে করা হচ্ছে যে, আজ কলকাতা হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলো, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার মত একটা নির্দেশ। কিন্তু কি এমন জানালো কলকাতা হাইকোর্ট?
প্রসঙ্গত, এতদিন উচ্চ প্রাথমিকে রাজ্যের পক্ষ থেকে তৈরি করা অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, এভাবে কি অতিরিক্ত শূন্যপদ করে নিয়োগ করানো যায়? আর এবার সেই উচ্চ প্রাথমিকে রাজ্যের তৈরি অতিরিক্ত ১৬০০ শূন্যপদ বাতিলের কথা জানিয়ে দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আর এই খবর সামনে আসতেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
বলা বাহুল্য, ২০১৬ সালে তৈরি হওয়া প্যানেলের ২০১৯ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এই উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষায় অতিরিক্ত ১৬০০ শূন্যপদ তৈরি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। বিভিন্ন সময় এই বিষয়টি তুলে ধরে সোচ্চার হতে দেখা যায় বিরোধীদেরও। আর এবার কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যের তৈরি সেই অতিরিক্ত ১৬০০০ বাতিলের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের কাছে যে চরম ধাক্কা হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।