প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘটা করে ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান দিচ্ছেন। বলছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কিন্তু সেই ধর্ম এবং উৎসব দুটোই পালন করতে গিয়ে বিরোধীদের অভিযোগকে সত্যি করে রাজ্যে কি ফের বন্ধ হতে চলেছে দুর্গাপুজো? অন্য একটি সম্প্রদায়ের কোনো উৎসবে যেখানে কাঁচি পড়ে না, যেখানে সেই আচার অনুষ্ঠান বাদ দেওয়ার মত বন্ধ করার মত কোনো নির্দেশিকা দেওয়ার ক্ষমতা হয় না তৃণমূলের কোনো নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের, সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবথেকে পবিত্রতম আচার অনুষ্ঠান দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রেই কেন তাদের এত এলার্জি? মহেশতলায় দীর্ঘদিনের পুজো কল্যান সমিতির। জমি জটের কারণে এবার সেই পুজোর প্যান্ডেল খোলার জন্য ডেকোরেটর্সদের যেভাবে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, তাতে এই সমস্ত প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।

কি ঘটনা ঘটেছে? জমি জটের কারণে মহেশতলার এই কল্যাণ সমিতির পুজো নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। কিন্তু আদালত জানিয়ে দিয়েছিল যে, যতদিন না জমি-জটের সমস্যা মিটছে, ততদিন এখানে দুর্গাপুজো করতে পারবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আর তার মধ্যেই সম্প্রতি মহেশতলা পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান দুলাল দাস, যে ক্লাবে প্যান্ডেল হচ্ছিল, তার সামনে গাড়ি নিয়ে আসেন এবং ডেকোরেটর্সদের ডেকে তিনি রীতিমতো হুমকি দেন যে, অবিলম্বে এই প্যান্ডেল খুলে নিয়ে চলে যেতে হবে। তা না হলে তিনি নাকি তাদের গ্রেফতার করিয়ে দেবেন। স্বাভাবিকভাবেই যারা ডেকোরেটর্স, তারা নিজেদের প্রাণভয়ে মুহূর্তের মধ্যে নিজেদের প্যান্ডেল তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে সেখান থেকে চলে যান। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই পৌরসভা এবং তার চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যেখানে আদালতের কোনো অসুবিধে নেই, যেখানে আদালত পরিষ্কার বলে দিয়েছে, পুজো করতে, সেখানে চেয়ারম্যানের এই মাতব্বরি কেন?

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা‌। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়েরই আকার অনুষ্ঠান করার অধিকার আছে। বাকি হিন্দু সম্প্রদায়ের সনাতনী সংস্কৃতি রক্ষা করার অধিকার কারওর নেই। প্রতি মুহূর্তে বাংলায় হিন্দুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তৃণমূলের নেতারা ভোটব্যাংকের রাজনীতি এবং তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে সাধারণের সর্বনাশ করছেন। দুর্গাপুজো, যা হিন্দুদের সব থেকে পবিত্রতম ধর্ম পালন, সেটাতেও এবার খাস কলকাতার বুকে বাধা দান শুরু হয়ে গেল। অবিলম্বে এই ফ্যাসিস্ট শাসককে উৎখাত করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে হিন্দুরা বাংলায় সুরক্ষিত থাকবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।