প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে নির্বাচন যে প্রহসনে পরিণত হয় এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভেতরে কৌশল করে তৃণমূল যে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করার সব রকম চেষ্টা এবারেও বেছে নেবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিজেপি। তাই বিজেপি এসআইআর হলেও সমস্ত খুঁটিনাটি দিকে নজর রাখছে। মূলত, যারা বিএলও হিসেবে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে কেউ তৃণমূলের সদস্য বা পদাধিকারী নয় তো, সেই দিকে কড়া দৃষ্টি রেখেছে বিরোধীরা। আর তার মাঝেই এবার এসআইআর হওয়ার পরেই আরও এক বিএলওর তথ্য সামনে চলে এলো। যেখানে সেই বিএলওর পরিচয়ে দেখা গেল যে, তিনি তৃণমূলের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে বিএলওদের কোনোরকম দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না বলে জানানো হয়েছে, সেখানে তৃণমূল চালাকি করে এই কৌশল করতেই তা ধরে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি গোটা বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তার জন্যও আবেদন জানালেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসআইআর শুরু হয়েছে। তবে এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় ভূমিকা রয়েছে বিএলওদের যারা। নিরপেক্ষ হিসেবেই কাজ করবেন। এমনকি বিএলওরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এতসবের পরেও এই রাজ্যের যারা বিরোধী দল রয়েছে, সেই বিজেপি খুঁটিনাটি সমস্ত দিকে নজর রাখছে। কারণ তারা খুব ভালো মতই জানে যে, নির্বাচনের সমস্ত কৌশলকে বানচাল করতে তৃণমূল বিএলওদের মধ্যেও নিজেদের লোক রাখার চেষ্টা করবে। আর সেই দিকে নজর রাখতে গিয়েই আজ বড় তথ্য পেয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের দিব্যেন্দু সর্দার নামে এক ব্যক্তি, যাকে বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ তথ্য ফাঁস করলেন তিনি। বিরোধী দলনেতার দাবি, দিব্যেন্দু সর্দার নামে যে ব্যক্তিকে বুথ লেভেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি ফলতা ব্লকের হরিণডাঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্য।

শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নির্বাচন কমিশনের কাছে গোটা বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি লেখেন, “এইরকম কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হলে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজে নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর প্রশ্ন ওঠে। তাই স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচনের আগেই ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ করা একান্তভাবে প্রয়োজন। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অনুরোধ করব, তিনি যেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে রাজনৈতিকভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের বিএলও পদ থেকে অবিলম্বে অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।”